ক্রেতারা অর্ডার বাতিল বা এয়ার শিপমেন্টও চাইবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন:বিজিএমইএ সভাপতি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে ২১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন, শ্রমিকদের বেতন এবং ডাইং, ওয়াশিং ও এক্সেসরিজ শিল্পে এ ক্ষতি হয়েছে। অবশ্য অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনার কারণে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করবে না, এয়ার শিপমেন্টও চাইবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় বায়ার্স ফোরামের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিজিএমইএ সভাপতি এসএম মান্নান কচি। এ সময় সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ৪-৫ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাবদ ক্ষতি হয়েছে ১১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। আর ওয়াশিং, ডাইং, ফিনিশিং ও এক্সেসরিজ শিল্পে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, তারা (বিদেশি ক্রেতারা) দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছেন। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বায়াররা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ৪-৫ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি করতে না পারলে অর্ডার বাতিল করবে না। ডিসকাউন্টও চাইবে না। এমনকি এয়ার শিপমেন্টও চাইবে না।
পোশাকশিল্প হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত দিনে গার্মেন্ট শিল্প হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত ছিল। তাই ভবিষ্যতেও যারা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেবে, তারা গার্মেন্ট শিল্পকে হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখবে বলে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, দেশের ইমেজ নিয়ে বায়াররা চিন্তিত নন। আজকের (সোমবার) আলোচনায় তারা হতাশ করেননি। বরং তারা পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বিজিএমইএ থেকে বলা হয়, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এবং তৈরি পোশাক খাতে এর প্রভাব ও পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতাদের জানাতে বাংলাদেশে অবস্থিত বিশ্বের নামিদামি পোশাক ক্রেতা ও তাদের এ দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য ক্রেতাদের আহ্বান জানিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সব ক্রেতাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির প্রভাব কাটাতে বিজিএমইএ সর্বোচ্চ এবং সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।