ছবি: সংগৃহীত
কুরবানির ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থানে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আর এর মধ্যেই রাজধানী ঢাকায় ফিরে বাজারে গিয়ে নিত্যপণ্যের দাম শুনে অবাক হতে হচ্ছে তাদের। ঈদের ছুটিতে বেড়ে গেছে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের বাজার। যার মধ্যে অন্যতম পেঁয়াজ, আলু ও ব্রয়লার মুরগি। এক্ষেত্রে অবশ্য ব্যবসায়ীদের পুরনো দাবি বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম।
ঈদের পর কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে গেছে। বাজার বেধে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। যা সপ্তাহ আগেও ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা।শুক্রবার সকাালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে এই দৃশ্য পাওয়া গেছে।
বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দামও। ঈদের আগে পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা কেজির দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়বে খুচরা পর্যায়ে। হাঁকাতে পারে সেঞ্চুরিও।
কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি, দিশেহারা ক্রেতা
আলুর অবস্থাও পেঁয়াজের মতোই। ঈদের আগে যেই আলু খুচরা পর্যায়ে ছিল ৬০ টাকা কেজি। তা এবার পাইকারি বাজারেই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজ, আলুর দাম কমতে পারে।
এর বাইরে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। ঈদের আগে যেই মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৯০ টাকা বিক্রি দরে। সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২১০ টাকা কেজি করে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।
তবে কিছুটা স্বস্তি আছে ডিমের বাজারে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির বাদামি ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। এর বাইরে কমেছে রসুনের দাম। বাকি অন্যান্য সবজি ও মাছের দাম মোটামুটি আগের মতোই আছে।