Logo
Logo
×

অর্থনীতি

বাণিজ্যমেলায় হুরের আকর্ষণীয় ছাড়

শেষ ছুটির দিনে ৬০ হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম

Icon

এ হাই মিলন, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৯ পিএম

শেষ ছুটির দিনে ৬০ হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি থাকেন। কারণ কর্মব্যস্ত দিনে লোকসমাগম কম হলেও ছুটির দিনে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। মেলায় শেষ ছুটির দিন শনিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজনকে মেলায় আসতে দেখা গেছে। 

এদিকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্দা নামবে বাণিজ্যমেলার। এতে খুশি নন ব্যবসায়ীরা। আরও তিনদিন সময় বাড়ানোর দাবিতে তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তবে শেষ সময়ে বেচাকেনা অনেকটা বেশি হওয়ায় খুশি স্টল মালিকরা। 

সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার মেলার ২৮তম দিনে লোকসমাগম অনেক বেশি। সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত মেলায় প্রায় ৬০ হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবেশদ্বার কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ। মেলায় পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি।

বাণিজ্যমেলায় হুরের প্যাভিলিয়ন কর্মকর্তা শাহরিয়ার কবির শাকিব বলেন, কুর্তি, মেহের, মাহির, স্টিচ, আন-স্টিচ কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। ৫০ থেকে ৬০% ছাড় দিচ্ছে হুর প্যাভিলিয়ন। পাকিস্তানি ডিজাইনের দেশীয় কাপড় একমাত্র বাজার দখল করে আছে। ছাড় দেওয়ায় বিক্রি অনেক ভালো বলে জানান প্যাভিলিয়নের কর্মকর্তারা। 

যাত্রাবাড়ী থেকে বাবা-মার সঙ্গে ঘুরতে আসা জয়িতা পারভিন বেশ কয়টা জামা কিনেছেন। তিনি বলেন, হুবহু পাকিস্তানি কাপড় যে রকম হয়, হুরের কাপড়, রং, ডিজাইন সেরকমই আমি পেয়েছি। সামনে ঈদ তাই ঈদের জন্য এই কাপড়গুলো কিনে নিলাম।

এবার মেলায় গৃহস্থালি সামগ্রী, বেড শিট, ভারতীয় চাদর, জুতা, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক, প্রসাধন সামগ্রী, বিদেশি কার্পেট, হাতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য, স্যুট, ব্লেজার, ক্রোকারিজ, জুয়েলারি, ফার্নিচারের দোকানসহ সব স্টল ও প্যাভিলিয়নে ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। শেষের দিকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে ১০ থেকে ৫০/৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে স্টলগুলো। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেলায় আসা লোকজন কিছু না কিছু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 

রূপগঞ্জের তারাব এলাকার ব্যবসায়ী শামীম ভূঁইয়া বলেন, মেলায় প্রবেশের প্রধান সড়কে কিছুটা যানজটের কারণে অনেকটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে মেলার পরিবেশ অনেক ভালো।

এদিকে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সময় আরও তিনদিন বাড়ানোর দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী সমিতি ও গেইট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। শনিবার দুপুরে মেলার প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এবারের মেলা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়ায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। 

কারণ উল্লে­খ করে তারা বলেন, এবার ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ২১ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। এরপর প্রথম শুক্রবার ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার ঢাকা ম্যারাথন থাকার কারণে ৩০০ ফিট রাস্তা বন্ধ করে অনুষ্ঠান করায় লোকসমাগম হয়নি। প্রতি বছর বাণিজ্যমেলা শেষ হওয়ার পর অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়। কিন্তু এ বছর বইমেলা না পিছিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয়েছে। ফলে লোকসমাগম কম হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন থেকে অতিমাত্রায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে মেলার নির্মাণ কাজ শেষ করতে বিলম্ব হয়। আবার ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে লোকসমাগম চাহিদার চেয়ে কম হচ্ছে। এ ছাড়া অব্যবস্থাপনার কারণে মেলার বাইরে আরেকটি মেলা দৃশ্যমান হচ্ছে, যার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আকর্ষণ কমছে। এজন্য তারা অনেকটা লোকসানের মুখে পড়েছেন। তাই সময় বাড়ানোর জোরালো দাবি ব্যবসায়ীদের। 

এ প্রসঙ্গে ইপিবি সচিব বিবেক সরকার বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল মেলা হতে যাচ্ছে এখানে। সুতরাং মেলার সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। ২০ ফেব্রুয়ারি মেলার পর্দা নামানোর সব প্রস্তুতি হয়ে গেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম