আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা
যমুনার যুগলবন্দি অফারে ব্যাপক সাড়া
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বেড়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে মেলায় ইউরোপিয়ান ডিজাইনে নির্মিত একটি আস্ত বাড়ি মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
ডেভেলপার কোম্পানি ‘কে ওয়াই টু টোন’ এ বাড়ি বিক্রি করছে। প্রতিদিন হাজার দর্শনার্থী বাড়িটি দেখতে ভিড় করছেন। এদিকে মেলার সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সময় না বাড়ালে লোকসানের শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ২০ ফেব্রুয়ারি মেলার পর্দা নামবে।
মেলায় আকর্ষণীয় যুগল অফার নিয়ে এসেছে যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইল। যমুনার হোম এপ্লায়েন্স ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
যমুনার ডেপুটি ম্যানেজার রাকিব আহমেদ বলেন, যুগলবন্দি অফার আমরা তিন ধাপে সাজিয়েছি। এগুলো হলো-এলিগেন বান্ডেল অফার, সুপার বান্ডেল অফার ও ক্লাসিক বান্ডেল অফার।
প্যাভিলিয়নের কর্মকর্তারা জানান, এ লোভনীয় অফারে গৃহিণীরা রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। রাজধানীর শাহবাগ থেকে আসা ব্যাংকার শামসুল আলম দম্পতি বলেন, এক ঢিলে দুই পাখি মারলাম যমুনার বান্ডেল অফারে। হোম ডেলিভারিসহ অনেক ছাড় পেয়েছি।
ইউরোপিয়ান বাড়ির মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে চোখে পড়বে সুবিশাল ড্রয়িং রুম। পাশেই ডাইনিং রুম। রয়েছে সুন্দর বেলকুনি। স্টিলের তৈরি এমন বাড়ি সচরাচর ইউরোপের দেশগুলোতে দেখা গেলেও বাংলাদেশে এমনটা দেখা যায় না। ফলে এবারের মেলায় অন্যতম আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে বাড়িটি। কর্মব্যস্ত বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা যায়, আস্ত বাড়ি বিক্রির খবরে দর্শনার্থীরা হুমরি খেয়ে পড়ে।
কে ওয়াই টু টোনের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, আস্ত বাড়ির ধারণা আগে থেকে এ দেশে ছিল। কিন্তু তা কাঠের তৈরি বাড়ি ছিল। আমরা যে বাড়িটি বিক্রি করছি তা সম্পূর্ণ স্টিলের তৈরি, যা ১০০ বছরেও কিছু হবে না। এছাড়া এটি ভ‚মিকম্প ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে টিকে থাকার সক্ষমতা রাখে। আমরা এসব বাড়ি প্রতি বর্গফুট অনুসারে বিক্রি করি। যদি কেউ এমন একতলাবিশিষ্ট বাড়ি বানাতে চান তাহলে প্রতি বর্গফুটে ১ হাজার ৯০০ টাকা এবং ডুপ্লেক্স বাড়ির ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হবে। ১ হাজার বর্গফুটের একতলাবিশিষ্ট একটি বাড়ি ৪৫-৫০ দিনে এবং ডুপ্লেক্স বাড়ি তিন মাসের মধ্যে সরবরাহ করে থাকি।
ইগলু আইসক্রিম কোম্পানির ডিলার আমানুল্লাহ মিয়া বলেন, মেলা উদ্বোধনের সময় নিশ্চিত না থাকায় এবং নির্বাচনপরবর্তী পরিস্থিতি কেমন হবে-এ নিয়ে সংশয় থাকায় মেলার শুরুতে প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। তাই অনেকেই সময়মতো স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করতে পারেনি। টাকায় স্টল বরাদ্দ নিয়েছি-তা তুলতে পারব না। তাই আমাদের কথা বিবেচনা করে সময় বাড়ানো দরকার।
মেলার সময় বাড়ানো সম্পর্কে জানতে চাইলে ইপিবি সচিব বিবেক সরকার বলেন, এ বছর মেলার সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ২০ ফেব্রুয়ারি মেলা শেষ হলে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একই প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যালস মেলা আয়োজন করা হবে।