শেয়ারবাজারে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার
বড় মূলধনের ৩৫ কোম্পানিতে বহাল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
শেয়ারবাজারে বহুল প্রত্যাশিত ফ্লোর প্রাইস (নিম্নসীমা) তুলে নিলো নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে বড় মূলধনের ৩৫ কোম্পানিতে ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকবে। এর ফলে বর্তমানে তালিকাভুক্ত ৩৫৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩২০টি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য স্বাভাবিকভাবে উঠা নামা করতে কোনো বাধা থাকলো না। শনিবার থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিএসইসি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম যুগান্তরকে বলেন, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন আশা করছে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরবে।
প্রসঙ্গত, ফ্লোর প্রাইস হলো শেয়ারের দাম কমার নিম্নসীমা। করোনার সময় অস্থিরতা ঠেকাতে নতুন নিয়ম চালু করে বিএসইসি। এক্ষেত্রে কোনো শেয়ারের দামের ভিত্তি হবে আগের ৫ দিনের সর্বশেষ লেনদেনের (ক্লোজিং প্রাইস) গড় দর।
কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। কিন্তু দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও ২০২১ সালের জুলাইয়ে তুলে নেওয়া হয়। তবে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দরপতন ঠেকাতে গত বছরের ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয় বিএসইসি। এখনও সেটি বহাল আছে। এর ফলে বিশাল সংখ্যক কোম্পানি বিপদে রয়েছে। যারা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন, তারা সবচেয়ে বেশি বিপদে।
এরপর শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রকসংস্থা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ বিষয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে নিয়ন্ত্রকসংস্থা। এ অবস্থায় শনিবার থেকে এসব কোম্পানির শেয়ারের উপর ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না। তবে বড় ধরনের পতনের আশঙ্কা বিবেচনা করে কমিশন ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। অর্থাৎ একদিনে ওই সব কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে। আর ৩৫ কোম্পানির ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত আসবে।
ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা কোম্পানিগুলো হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বারাকা পাওয়ার, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডোরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল), কাট্টালি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, রেনাটা, রবি, সাইহাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।