সুপার ও পেনিনসুলার স্থায়ী সম্পদ অধিগ্রহণ করবে এসএস স্টিল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩২ পিএম
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্টিল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসএস স্টিল তার ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সুপার স্টিল ও পেনিনসুলা স্টিল মিলস লিমিটেডের স্থায়ী সম্পদ অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২ বছরের পুরোনো এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে অবস্থিত পেনিসুলা ও সুপার স্টিল লিমিটেডে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে এসএস স্টিল।
স্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ১৬৪ ডেসিমেল জমি, ইস্পাত কাঠামোর শেড, ভবন, মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং ইউটিলিটি সংযোগ। এতে কোম্পানির বছরে অতিরিক্ত ৬২,৪০০ টন উৎপাদন বাড়াবে এবং সমন্বিত বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪৪২,৮০০ টন এমএস রডে পৌঁছবে।
ডিএসইকে দেওয়া প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে- কৌশলগত বিনিয়োগের অর্থ কোম্পানির নিজস্ব আয় এবং আংশিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে।
২০০১ সালে যাত্রা শুরু করা এসএস স্টিল তাদের কাঁচামাল স্ক্র্যাপ থেকে এমএস বিলেট ও এমএস রড তৈরি করে। বছরের পর বছর ধরে কোম্পানিটির পণ্য অনেক বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অবকাঠামো তৈরিতে পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে আছে।
সুপার ও পেনিনসুলা স্টিলের স্থায়ী সম্পদ অধিগ্রহণের মাধ্যমে মাত্র তিন বছরের মধ্যে এসএস স্টিল তাদের তৃতীয় স্টিল স্থাপনা কিনতে যাচ্ছে। ২০২০ সালের আগস্টে এসএস স্টিল চট্টগ্রামভিত্তিক সালেহ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ২০২২ সালের মার্চে নারায়ণগঞ্জভিত্তিক আল ফালাহ স্টিল ও রি-রোলিং মিল অধিগ্রহণ করে।
এএস স্টিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগেনহেপেন বলেন, আমাদের টেকসই ব্যবসার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছি। এক্ষেত্রে সুপার ও পেনিনসুলা স্টিল লিমিটেডকে সঠিক পছন্দ হিসেবে বিবেচনা করছি। কারণ এদের কারখানার কাঠামো ইতিমধ্যে তৈরি আছে এবং এদের সম্ভাবনাও অনেক বেশি। সে কারণে আমাদের পরিচালনা পর্ষদ প্রতিষ্ঠান দুটির স্থায়ী সম্পদ এবং পরিচালন ক্ষমতা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এএস স্টিল এবং এর সহযোগী স্টিল উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ইউনিট মিলে বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২১৫০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে এটি ৩০০০ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে ৪০টি আধুনিক ও ১৫০টি সনাতন কারখানা স্টিল উৎপাদন করে। বাংলাদেশে এখন মাথাপিছু স্টিল ব্যবহারের পরিমাণ ৪৫ কেজি। ২০৩০ সাল নাগাদ মাথাপিছু স্টিল ব্যবহারের পরিমাণ ১০০ কেজি পেরিয়ে যাবে বলে ধারণা এ খাত সংশ্লিষ্টদের।