সপ্তাহের শেষ দিনেও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। কমেছে লেনদেনও। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে যা ৪৭ কোটি টাকা কম।
এছাড়া এদিন ডিএসইতে ৯৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এতে দিনশেষে মূল্যসূচক কমেছে ১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। যদিও একদিনে এই পতন খুব বেশি নয়। কিন্তু বাজারে ফ্লোর প্রাইস (নিম্নসীমা) দিয়ে পতন আটকে রাখা হয়েছে। না হলে বির্ভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম আরও কমে যেত। যা সূচকে বড় ধরনের প্রভাব ফেলত।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে বৃহস্পতিবার ৩১১টি কোম্পানির ১০ কোটি ৯৯ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৪৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৯৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইর ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭১ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইর বাজারমূলধন ৭ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকায় স্থির রয়েছে।
শীর্ষ দশ কোম্পানি: বৃহস্পতিবার ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হলো-এমারেল্ড অয়েল, ইয়াকিন পলিমার, ফু-ওয়াং ফুড, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, দেশবন্ধু পলিমার, ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, বীচ হ্যাচারি এবং খুলনা প্রিন্টিং।
যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হলো- বিডি থাই ফুড, খান ব্রাদার্স পিপি, ইয়াকিন পলিমার, সমতা লেদার, ন্যাশনাল ফিড, খুলনা প্রিন্টিং, সেন্ট্রাল ফার্মা, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ ও আনলিমা ইয়ার্ন।
অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হলো-জুট স্পিনার্স, লিব্রা ইনফিউশন, জিকিউ বলপেন, জিলবাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগার, শমরিতা হসপিটাল, আরডি ফুড, নাভানা ফার্মা, আজিজ পাইপস এবং জেমিনী সি ফুড।