‘বাজেট বক্তৃতায় স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দূরীকরণের দিকনির্দেশনা নেই’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম
ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পেশকৃত বাজেট বক্তৃতায় স্বাস্থ্য খাতে বিদ্যমান অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দূরীকরণের কোনো দিকনির্দেশনা অনুপস্থিত। মানসম্মত ও জনবান্ধব স্বাস্থ্য সেবার গাল ভরা কথা বাজেট বক্তৃতায় বলা হলেও বাস্তবে সরকার রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা খাতকে সংকুচিত করে চলেছে।
এক বিবৃতিতে জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ আহ্বায়ক ফয়জুল হাকিম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা, জনস্বাস্থ্য সংগঠক ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, অনুপ কুন্ডু ও সামিউল আলম এ কথা বলেন।
ইউজার ফি’র নামে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের পরে এখন সরকারি হাসপাতালে অফিস সময় শেষে বৈকালিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবার নামে ফি নিয়ে প্রাইভেট রোগী দেখার নিয়ম চালু করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাজেট বক্তৃতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিকের গুণগান করা হলেও বাস্তবে এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা নামকাওয়াস্তে আছে। দেশের জনসংখ্যার একটা অংশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। অথচ তাদের বিষয়টিকে বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি।
বিবৃতিতে বাজেট বক্তৃতায় জনসংখ্য অনুপাতে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান নিয়োগের বিষয় উল্লেখ না থাকাকে দুর্ভাগ্যজনক বলা হয়। দেশের চিকিৎসা সেবা খাতকে সরকার কার্যত প্রাইভেট ও করপোরেট হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাগামহীন মুনাফা লুটার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
বিবৃতিতে নেতারা প্রস্তাবিত বাজেটকে একটি গতানুগতিক বাজেট হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, জনগণের করের টাকায় এ বাজেট হচ্ছে দুর্নীতিবাজ লুণ্ঠনজীবী শাসক শ্রেণির লুটপাটের বার্ষিক পরিকল্পনা।