করোনা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত টিকা দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে প্রধান রফতানির বাজারগুলো হারাতে হবে। বাজেটে এখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি সংকট মোকাবেলায় সুনির্দষ্টি দিক নির্দেশা থাকা জরুরি।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রোববার এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও গবেষণা সংস্থা রিসার্স পলিসি ইন্ট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এটি আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ সময়ে তিনি স্বীকার করেন, বিবিএসের তথ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও র্যাপিড চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যা পিড নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন (টিকা) না নিলে, হার্ড ইমিউনিটি না হলে দেশে ক্রেতারা আসবে না। তাই ভ্যাকসিনের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ বিষয়টি সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেবে বলে মনে করি।
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলছেন বাজেট ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসায়ীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য উপাত্তের ঘাটতি ও নতুন দারিদ্রের বিষয়ে প্যানেল আলোকচকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিবিএসের তথ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা প্রফেশনালদের স্বাধীনতা দিয়েছি। তাদেরকে বলেছি, আপনারা যে তথ্য দিচ্ছেন, তাতে আমরা যেন প্রশ্নবদ্ধি না হই। তথ্যের প্রাপ্তি, গুণগতমান এবং নিশ্চয়তা নিয়ে আমি কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, অর্থনীতিতে অনানুষ্ঠানিক খাতকে স্বীকৃতি দেয়ার সময় এসেছে। তাদেরকে দুই টাকা আয় করার সুযোগ দিলে আধা পয়সা সরকারকে দেবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কর্পোরেট করহারে ছাড়ের বিষয়টি ইতিবাচক। তবে বাজেটটি এমন সময় হয়েছে, যখন আমাদের সামনে করোনা সংকট থেকে উত্তোরণের চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবেলায় প্রণোদনার পাশাপাশি টিকায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শেষ না হলে বিদেশি ক্রেতারা আসবেন না। ফলে রফতানি বাজার হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ভ্যাকসিনে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এটি বাড়াতে হবে। কারণ ভ্যাকসিন নিশ্চিত না হলে রফতানিতেও পিছিয়ে যেতে হবে। অর্থনীতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ব্যক্তি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সেভাবে হয়নি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভ্যাকসিনেশন না হলে আমাদেরকে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ নিষদ্ধি করে দিতে পারে। ফলে যতদ্রুত সম্ভব মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।
মূলপ্রবন্ধে ড. এম আবু ইউসুফ বলেন, সিএমএইচসহ ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোর মতো জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল স্থাপন করা দরকার। বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দরকার।