বিশ্ববাজারে কমছে সোনার দাম, বাংলাদেশে উলটো
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৩ পিএম
বিশ্ববাজারে কমছে সোনার দাম। শুক্রবার একদিনেই মূল্যবান এ পণ্যটির দাম ১ শতাংশের বেশি কমেছে। আর এক সপ্তাহে কমেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এ নিয়ে টানা ২ সপ্তাহে সোনার দাম কমল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশে। সোমবার সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আর এ নিয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা। দেশের ইতিহাসে সোনার দামের এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল আভাস দিয়েছেন, আগামী দিনে সুদের হার অপরিবর্তিত কিংবা বাড়তে পারে। সোনার দামে এর প্রভাব পড়েছে। শুক্রবার স্পট মার্কেটে সোনার দাম কমেছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। এদিন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৩৬ ডলার ৯ সেন্ট। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম কমেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। একইদিন ফিউচার মার্কেটে মার্কিন বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। যা আউন্সপ্রতি লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৩৭ ডলার ৭০ সেন্টে।
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি ইনডেক্সের বাজার বিশ্লেষক ফাওয়াদ রাজাকজাদা বলেন, চলতি সপ্তাহে স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে। যার মূল কারণ হলো ফেড চেয়ারম্যান পাওয়েলের ইঙ্গিত। এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহে স্বর্ণে বিনিয়োগে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি বেড়েছে। পণ্যটির দাম কমছে। গত সপ্তাহে ২ হাজার ডলারে ওঠে স্বর্ণের দাম। ফিলিস্তিন ও ইসরাইল যুদ্ধের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক দফায় সোনার দাম কমেছে প্রায় ৭০ ডলার। ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদি ইউএস ট্রেজারি বিল এবং ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের কাছে আকর্ষণ হারিয়েছে স্বর্ণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা না বাড়লে কিংবা মার্কিন অর্থনীতি দুর্বল না হলে স্বর্ণের দাম আরও কমবে।