
প্রিন্ট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৬ এএম
ডায়াবেটিক রোগীদের রোজা রাখা নিয়ে চিকিৎসকদের যে পরামর্শ

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১১:৫২ এএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
রমজান মাসে সিয়াম সাধনার মাস, মহিমান্বিত এই মাসে মুসলিমরা নিয়মিত রোজা রাখেন। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো যে, যারা কোনো অসুস্থতা বা রোগে ভুগছেন, তাদের রোজা রাখার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল বার্মিংহামের সাথে যুক্ত ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ওয়াসিম হানিফ বলেন, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তবে রোজা রাখা আপনার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং এটি অন্যান্য স্বাস্থ্যগত জটিলতাও সৃষ্টি হতে পারে।’
তার মতে, কিছু চিকিৎসা গবেষণায় দেখা গেছে যে রোজা রাখা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা (ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া) বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যারা টাইপ টু ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেসিস্টেন্সে আক্রান্ত।
এছাড়া রমজান মাসে অনেকের ওজন হ্রাস হতে পারে বা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যেতে পারে। এই পরিবর্তন ইনসুলিনের প্রতি আমাদের শরীরের সংবেদনশীলতা এবং মেটাবলিজম অর্থাৎ হজমশক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যারা স্থূলকায় (মোটা) তাদের ক্ষেত্রে।
তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে ইনসুলিন রেসিস্টেন্সে প্রভাব একেকজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে একেকরকম হতে পারে। এটি নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যকলাপের উপর।
অধ্যাপক ওয়াসিম বলেন, ‘রমজানে রোজা রাখার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তাদের উচিত হবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখা, যাতে তারা সুস্থতার সাথে এবং নিরাপদে রোজা রাখতে পারেন।’
ওমানে অবস্থানরত পুষ্টিবিদ রীম আল-আবদুল্লাহ বিসিবিকে বলেন, ‘আপনি যদি রমজান মাসে মাঝে মাঝে রোজা রাখেন অথবা নিয়মিত রোজা রাখেন, তাহলে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ।