অন্তঃসত্ত্বা নারী কখন রোজা ছেড়ে দেবেন?
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

রমজানের রোজা রাখা ফরজ। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে রোজা ছেড়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে ইসলামে।
যারা অন্তঃসত্ত্বা আছেন, তাদের ক্ষেত্রে বলব- রোজাটা পরেই রাখা ভালো। তবে যারা মোটামুটি সুস্থ বোধ করেন তারা চাইলে রোজা রাখতে পারেন। ইসলামে বলাই আছে গর্ভবতী অবস্থায় কেউ যদি রোজা রাখতে না পারেন তাহলে সেটা পরে রাখলেও হবে। আর যারা রাখতে চাচ্ছেন তারা আলাদা করে প্রেগন্যান্সিকে ৩ মাস করে ভাগ করে নেবেন। প্রথম তিন মাস, মাঝখানে ও শেষের তিন মাস- এইভাবে ভাগ করে নেবেন।
সেক্ষেত্রে শুরুতে অনেকেই আছেন যারা একদমই খেতে পারছেন না। অনেক বেশি বমি হচ্ছে—তাদের ক্ষেত্রে রোজা না রাখাটাই ভালো। কিন্তু যারা সুস্থ আছেন তারা রোজা রাখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, সেহরি ও ইফতারে যেন প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন—দুধ, ডিম থাকতে হবে। এছাড়া টক দই, চিড়া, সামুদ্রিক মাছও রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানিও খেতে হবে।
বাচ্চার শারীরের ওজন নির্ভর করে মায়ের ওপর। তাই সারাদিন রোজার পর যদি ইফতারেও না খেতে পারেন তাহলে তার প্রভাব পড়বে বাচ্চার উপরে। বাচ্চার ওজন একেবারেই কম থাকবে, অপরিণত বাচ্চার জন্ম হতে পারে এবং পরবর্তীতে অনেক ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যারা সুস্থবোধ করবেন, তারাই রোজা রাখতে পারেন।
আর রোজা রাখা অবস্থায় গর্ভবতীদের কায়িক পরিশ্রম অবশ্যই কম করতে হবে। খুব বেশি ওজন নেওয়া যাবে না। বিশ্রামে থাকতে হবে। যারা কর্মজীবী আছেন, তারা চেষ্টা করবেন ছায়াতে থেকে কাজটা করার। কারণ রোজা রেখে পানি খেতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত ঘেমে যান। তাহলে পানিশূণ্যতা দেখা দিতে পারে।
যারা ডায়াবেটিসের রোগী আছেন, তারা ডাক্তারের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেবেন রোজাটা রাখা যাবে কিনা। পাশাপাশি নিয়মিত চেকআপ করতে হবে, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
লেখক: আয়শা আক্তার
উপ-পরিচালক
২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল।