
প্রিন্ট: ০১ মে ২০২৫, ০৫:০৪ এএম
'শব্দ জীবনে ফিরে বদলে গেল অর্পার জীবন'

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
কোনো কিছু বললে বা জিজ্ঞেস করলে সাড়া দেয় না অর্পা। ডাকাডাকি করলেও অন্য শিশুদের মতো সহজে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় না। প্রতিদিনের এ অস্বাভাবিক জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অর্পার বাবা-মা।
রাজধানীর মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া তাসনিম খান অর্পা। তার যখন দুই বছর তখন থেকেই বাবা-মা বুঝতে পারেন মেয়েটা কিছুটা অস্বাভাবিক। এরপর অর্পাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তার বাবা-মা।
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানান, অর্পা শুনতে পায় না। সে কখনও শুনতে পাবে না। এ খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে অর্পার বাবা-মায়ের। চোখে মুখে অন্ধকার দেখেন। এমন উচ্ছল মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় পড়েন তারা।
বিভিন্ন জায়গায় মেয়েকে নিয়ে ছোটাছুটি করেন অর্পার বাবা-মা। এমন সময় জানতে পারলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নাক, কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাত জোয়ারদার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা করেন। তিনি বধিরদের কানে একটি যন্ত্র স্থাপন করে দেন যার ফলে রোগী শ্রবণ শক্তি ফিরে পায়, স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে।
অর্পার বাবা-মা ঘোর অমানিশার মধ্যেও মিটমিট আলো দেখতে পান। তাকে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। ২০০৯ সালে অর্পার কানে একটি ডিভাইস প্রতিস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান জোয়ারদার। সেই অস্ত্রোপচারটি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ডিভাইস প্রতিস্থাপনের ২১ দিন পর নিয়মানুযায়ী ডিভাইসটির সুইচড অন করা হয়। এরপর অর্পাকে স্বাভাবিক নিয়মে স্পিচ থেরাপি দেয়া হয়।
তারপর থেকে অর্পা অন্য স্বাভাবিক শিশুদের মতো শুনতে পারে। ধীরে ধীরে বয়স অনুযায়ী সে বলতেও শিখে। পরবর্তীতে অর্পা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করে।
অর্পার মা জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি তার ছবি আঁকার হাতও বেশ ভাল। শুধু অর্পা নয়, অর্পার মতো আরও অনেকে শ্রবণশক্তি ফিরে পেয়েছে কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের মধ্য দিয়ে। শব্দ জীবনে ফিরে বদলে গেছে তাদের জীবন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডেভলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’ এর কর্মসূচি পরিচালক ও ইমপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাত জোয়ারদারের নেতৃত্বে একটি টিম ২০১০ সাল থেকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি ব্যবস্থাপনা করে আসছে।
তিনি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সম্পর্কে জানান, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বা বায়োনিক ইয়ার হলো শ্রবণ সহায়ক অত্যাধুনিক এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা মারাত্মক বা সম্পূর্ণ বধির ব্যক্তিকে শব্দ শুনতে সহায়তা করে। ইমপ্লান্ট চালুর পর বধির ব্যক্তির কাছে তখন পৃথিবীটা শব্দময় হয়ে ওঠে।
কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের দুটি অংশ- একটি অংশ কানের বাইরে থাকে, যে অংশে থাকে মাইক্রোফোন, স্পিচ প্রসেসর ও ট্রান্সমিটার এবং আরেকটি অংশ কানের ভেতরে থাকে, যে অংশে থাকে রিসিভারস্টিমুলেটর এবং ইলেকট্রোড। অপারেশনের মাধ্যমে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট অন্তঃকর্ণের কক্লিয়াতে স্থাপন করা হয়।
মাইক্রোফোনের মাধ্যমে গৃহিত শব্দ এনালগ ইলেকট্রিক সিগনালে পরিবর্তিত হয়। স্পিচ প্রসেসর সেই সিগনালকে প্রসেসিং করে কোডেড ডিজিটাল সিগনালে রূপান্তর করে। ট্রান্সমিটার কয়েলের মাধ্যমে কোডেড সিগনাল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে ইন্টারনাল রিসিভার স্টিমুলেটরে প্রেরিত হয়। রিসিভার স্টিমুলেটর সেই কোডেড সিগনালকে ইলেকট্রিক ইমপালসে পরিবর্তিত করে ইলেকট্রোডে প্রেরণ করে। ইলেকট্রোড ইলেকট্রিক ইমপালসকে অডিটরী নার্ভের মাধ্যমে মস্তিস্কে প্রেরণ করে এবং মস্তিস্ক সেই ইমপালসকে শব্দ হিসেবে চিহ্নিত করে। ফলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি শব্দ শুনতে পায়।
জানা গেছে, একটি টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সেবা প্রদান করা হয়। এই টিমের মধ্যে থাকে ইএনটি সার্জন, অডিওলজিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্ট বা অডিটরিভারবাল থেরাপিস্ট, সাইকোলজিস্ট ও সমাজকর্মী। বিভিন্ন রোগে অন্তঃকর্ণের ক্ষতিগ্রস্ত কক্লিয়ার জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে শিশু বা ব্যক্তির শ্রবণ বধিরতার মাত্রা দেখার জন্য প্রথমে কিছু অডিওলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল টেস্ট করা হয়।
এই টেস্টের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারির। এরপর রোগীর সাইকোলজিক্যাল ও জেনারেল অ্যানেসথেসিয়ার উপযুক্ততার জন্য কিছু টেস্ট করা হয়। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারির ২-৩ সপ্তাহ পর অডিওলজিস্ট সুইচ অন এবং ম্যাপিং করে যথার্থ শব্দ শোনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তারপর ইমপ্লান্ট গ্রহিতাকে শব্দ শোনা ও ভাষা শেখানো হয় বা হ্যাবিলিটেশন করে স্পিচ থেরাপিস্ট।
ডা. জোয়ারদার জানান, শুধু কক্লিয়ার স্থাপনের মাধ্যমেই এই চিকিৎসা শেষ নয়। রোগীকে ফলোয়াপে থাকতে হবে। কোনো সময় কোনো সমস্যা দেখা দিলে টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
তিনি জানান, দেশের বাইরেও এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালু আছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে রোগীরা এই টিমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান জোয়ারদার এদেশে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট চিকিৎসার পথিকৃৎ। তিনিই শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও তাদের পরিবারকে শব্দের জগতে ফেরার স্বপ্ন দেখান। এই চিকিৎসার প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।
এই সার্জন জানান, ২০১০ সালে প্রথম বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচি চালু হয়। দেশের দরিদ্র ও সাধারণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শ্রবণশক্তির সাহায্যে নতুন জীবন দিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই প্রকল্প চালু হয়। ‘ডেভলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’নামক কর্মসূচিটি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ৮ বছর ধরে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে।
কর্মসূচির পরিচালক জানান, চলতি বছরের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশে সরকারি খরচে ২৪৬ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কানে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ জন নিজ ব্যয়ে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করেছেন। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপনের জন্য এখনও পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দ পত্র দেওয়া হয়েছে ৩২৪ জনকে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বরাদ্দ পায় ৫৪ জন, ২০১৪ থেকে ১৬ সালে বরাদ্দ পত্র পায় ৭৭ জন, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে বরাদ্দ পত্র পায় ৭২ জন।
তবে এ বছর বরাদ্দ পত্র পাওয়া রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ বছর জুনের মধ্যে ১২১ জন বরাদ্দ পায়। বরাদ্দ পাওয়া রোগীদের মধ্যে যাদের এখনো অস্ত্রোপচার করা হয়নি পর্যায়ক্রমে তাদের অস্ত্রোপচারের আওতায় আনা হচ্ছে।
ডা. জোয়ারদার জানান, জন্মগত বধিরদের ক্ষেত্রে ৫ বছর বয়সের আগে সম্ভব হলে ২-৩ বছর বয়সে ইমপ্লান্ট করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তিনি জানান, বর্তমান বিশ্বে পাঁচটি কোম্পানী কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট তৈরি করে। কোম্পানি ও মডেল ভেদে কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের দামে কিছু পার্থক্য থাকে। তবে গড় হিসেবে এই মূল্য নয়-দশ লাখ টাকা। তবে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের সব ব্যায়ভার বহন করে থাকে সরকার।
উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিস্কার কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকলেও এদেশে কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের যাত্রা খুব বেশি দিন আগের নয়। ২০০৫ সালের আগে বাংলাদেশের হাতে গোনা তিন চারজন রোগী বিদেশে গিয়ে এই ইমপ্লান্ট সার্জারি করিয়েছেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশে ২৫ ইমপ্লান্ট সার্জারি হয়। বাংলাদেশে বর্তমান বাজারে একটি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট -এর (ডিভাইস) মূল্য দশ থেকে বিশ লাখের মধ্যে পড়ে।
এছাড়া সার্জারি, হেবিলিটিশন থেরোপী ও বিবিধ খরচের গড়ে কমপক্ষে আরও লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা সাধারণ মানুষের একেবারে নাগালের বাইরে ছিল। এছাড়া দেশে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট টেকনোলজি সহজলভ্য ছিল না। এই পরিপ্রেক্ষিতেই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ (১ম পর্যায়ে) নামে কর্মসূচিটি গ্রহণ করে।
কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব বর্তায় এই চিকিৎসায় বাংলাদেশে পথিকৃত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান জোয়ারদারের উপর। বর্তমানে আবুল হাসনাত জোয়ারদার- এর নেতৃত্বে এই কর্মসূচিতে সাত জনের একটি টিম নিয়মিত কাজ করছেন। অন্যরা হলেন অধ্যাপক ডা. জহুরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. নাসিমা আক্তার, অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক কানুলাল সাহা, সহযোগী অধ্যাপক অসীম কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশীদ তালুকদার ইয়ামিন।
এদেশে কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনার নানা দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কর্মসূচি পরিচালক আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, যে শিশুটির মূক ও বধির হিসেবে বেড়ে উঠার কথা ছিল সে এখন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রহণ করে কানে শুনতে পারছে। কথা বলতে পারছে। মূল ধারার স্কুলে যেতে পারছে ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অপারেশন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট। সার্জারির জন্য জীবানুমুক্ত থিয়েটার নিশ্চিত করতে পারলে ও সার্জনদেরকে কক্লিয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে এদেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
বধিরতা বাংলাদেশে একটি বড় ধরণের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বাংলাদেশে বধিরতার হার শতকরা ৯ দশমিক ৬ ভাগ। দেশে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ মারাত্মক ধরণের বধিরতার ভুগছেন-যাদের সকলেই কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিশ্বজুড়ে প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে দু’জন শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে হিসাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৬শ’ শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মায় এবং প্রায় সমসংখ্যক জনগোষ্ঠী শ্রবণ শক্তি নিয়ে জম্মালেও তাদের জীবদ্দশায় কোন না কোন সময়ে বধিরে পরিণত হয়। যা শিশুর ভাষার বিকাশ এবং মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করে। পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে থাকে। তাই একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর দ্রুত শ্রবণ পুনর্বাসনের স্বার্থে কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের বিকল্প নেই।
অধ্যাপক ডা. আবুল হোসেন জোয়ারদার এ বিষয়ে বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকার এ খাতে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দ আরো বাড়ালে আরও অনেককে এ কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব।
প্রতি রবি ও মঙ্গলবার বিএসএমএমইউর সি ব্লকের ৬ষ্ঠ তলায় ৬০৪ নং কক্ষে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ক্লিনিক পরিচালিত হয়। এছাড়া প্রতি বুধবার সকাল ১০টায় একই বিভাগের ৭৩৯ নং কক্ষে অটোলজি ক্লিনিকেও রোগী দেখা হয়। কেবিন ব্লকের দ্বিতীয় তলায় অডিওলজি ইউনিটে এবং বৈকালিক স্পেশালাইজড বহির্বিভাগে রোগী দেখানো যায়।