Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে গেলে যা করবেন

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম

হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে গেলে যা করবেন

অহরহ অনেকের মুখে শুনে থাকবেন হঠাৎ করেই নাকি প্রেসার ওঠানামা করছে। জেনে রাখা ভালো এটি মোটেও কোনো ভালো লক্ষণ নয়। একজন মানুষ যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে অবশ্যই তার প্রেসার, পালস ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে হবে।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন প্রেসার ওঠানামা করছে

সাধারণত প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া, দেহের ভেতরে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে যেমন: রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণেও লো ব্লাড প্রেসার দেখা দিতে পারে।

আবার গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম ৬ মাস হরমোনের প্রভাবে লো প্রেসার হতে পারে। এ সময় মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া, মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা, চোখে অন্ধকার দেখা, ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়া, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদকম্পন, নাড় বা পালসের গতি বেড়ে যায়।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কী করবেন?

যদি ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণ যেমন মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, বমি বা বমিভাব, আবোলতাবোল বকা, ভুলে যাওয়া, ঝিমিয়ে পড়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া, মুখের কথা আটকে যাওয়া, অস্থির লাগা, বুকে, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেটে বা পিঠে ব্যথা বা খিঁচুনির মতো উপসর্গ দেখা দেয় তবে নিজে নিজে ওষুধ খেয়ে প্রেসার কমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে। যেমন স্ট্রোক হলে অনেক সময় তাৎক্ষণিক ব্লাড প্রেসার কমানো হয় না। 

কারণ এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল আরও কমে যেতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে খুব দ্রুত কমাতে হয় রক্তচাপ, যেমন রক্তনালী ছিঁড়ে গেলে। সেক্ষেত্রে শিরায় ইনজেকশন দিয়ে ব্লাড প্রেসার কমানো হয়, মুখে ওষুধ দেওয়া হয় না। তাই এমন অবস্থায় দ্রুততম উপায়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চলে যেতে হবে চিকিৎসার জন্য।  

শাকসবজি, ফল ও শস্যদানা

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কিছু খাবার আপনি খেতে পারেন। বেশি ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় দানা শস্য বা গোটা শস্য, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, শিমের বিচি, ডাল, ছোলা, লাল চালের ভাত, লাল আটা, আলু, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, তরমুজ, দুধ ও দই ইত্যাদি। এসব খাবারে বেশ উপকার পাবেন। 

কম চর্বিযুক্ত খাবার

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে ২ থেকে ৩ সার্ভিং। এক সার্ভিং দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার মানে আধা পাউন্ড বা এক গ্লাস দুধ অথবা এক কাপ দই।

টুকরো করে আধাকাপ ফল

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা ফল খেতে পারেন। টুকরো টুকরো করে কাটা আধাকাপ ফল কিংবা মাঝারি সাইজের একটা আপেল বা অর্ধেকটা কলা অথবা আধাকাপ ফলের রস এতে হবে ফলের এক সার্ভিং। ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফলই ভালো।

শাকসবজি ৪ থেকে ৫ সার্ভিং

শাকসবজি প্রতিদিন প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। শাকসবজির এক সার্ভিং মানে এক কাপ কাঁচা শাক বা আধাকাপ রান্না করা শাক।

দানা শস্য ৭ থেকে ৮ সার্ভিং

দানা শস্য প্রতিদিন দরকার ৭ থেকে ৮ সার্ভিং। দানা শস্যের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক স্লাইস রুটি অথবা আধাকাপ ভাত বা এক কাপ পরিমাণ গোটা দানা শস্য।

বিচি জাতীয় খাবার

বিচি জাতীয় খাবার প্রতি সপ্তাহে প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। বিচি জাতীয় খাবারের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ বাদাম বা আধাকাপ রান্না করা শিম বা মটরশুঁটি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম