হৃদযন্ত্রের গতিবিধি শনাক্ত করে এআই ডিভাইসটি

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম

মানুষের পা থেকে হৃদযন্ত্রের গতিবিধি বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি শনাক্ত করা যায়, এমন একটি এআই চালিত ডিভাইস বানিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি।
কেমব্রিজভিত্তিক কোম্পানি ‘হার্টফেল্ট টেকনোলজিস’ বলছে, তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাওয়া হার্টের রোগীদের খালি পা ফুলে গেছে কিনা, তা মনিটর করা যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাব্য লক্ষণ।
পা ফুলে যাওয়ার এ ঘটনাটি ‘পেরিফেরাল শোথ’ নামেও পরিচিত, যা সাধারণত হৃদক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহ আগে ঘটে থাকে। তবে, প্রায়ই তা রোগীরা তা বুঝতে পারেন না।
হার্টফেল্ট টেকনোলজিসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ডিভাইসটি রোগীর বাসায় ইনস্টল করা যেতে পারে, যেখানে তিনি যতবার এর পাশ দিয়ে হেঁটে যাবেন, ততবারই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার পা মনিটর করবে ডিভাইসটি।
ডিভাইসটি তৈরির মূল ধারণা হল, একে এমন রোগীদের বাসায় ইনস্টল করা, যারা এর আগে হৃদরোগে ভুগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
হার্টফেল্ট টেকনোলজিসের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ওরাইন চাউসিয়াক্স বলেছেন, ‘সিস্টেমটি বাসায় রাখা যায়, যা পরোক্ষভাবে রোগীর পায়ের গতিবিধি মনিটর করে, যখন তিনি এর ক্যামেরার পাশ দিয়ে হেঁটে যান। এটি এমনভাবে নকশা করা, যেখানে রোগীকে কিছু করতেও হয় না, পরতেও হয় না বা মনে রাখতেও হয় না। আমরা বিশ্বাস করি, অনিয়মিত রোগীদের জন্য এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে।’
ডিভাইসটি এখনো নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে, যা ইউরোপের ‘মেডিকাল ডিভাইস রেগুলেশন (এমডিআর)’ নীতিমালায় পড়ে। কোম্পানির তথ্য অনুসারে, ডিভাইসটি এরইমধ্যে গোটা বিশ্বের ‘বেশ কিছু জায়গায়’ পরীক্ষা করা হয়েছে।
কোম্পানিটি বলছে, ‘যেহেতু আমাদের ডিভাইসে রোগীর ইনপুট লাগে না, তাই এর ডেটা নিয়মিত ও প্রচলিত ব্যবস্থার চেয়ে নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করা যায়। ডাক্তারদের বেলায়- রোগীদের ভালোমানের ডেটার সম্ভাব্য মানে, রোগীদের দীর্ঘ সময় সুস্থতার সঙ্গে বেচে থাকা ও হাসপাতালে আবার ভর্তি হওয়ার মতো ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া।’