অধ্যাপক ডা. রুহুল ফুরকান সিদ্দিক
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় গড়ে ওঠে অবৈধ ক্লিনিক
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
অধ্যাপক ডা. রুহুল ফুরকান সিদ্দিক
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় যত্রতত্র অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) ও জাহাঙ্গীরনগর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুহুল ফুরকান সিদ্দিক।
এ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত স্থানে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়া, সরকারি হাসপাতালে জনবলের ঘাটতি ও সেবার অপ্রতুলতা, রেফারেল সিস্টেমের অনুপস্থিতি, সর্বোপরি করপোরেট হাসপাতালগুলোর সর্বগ্রাসী আচরণ অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক স্থাপনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন তিনি।
অসংক্রামক রোগ বেড়ে যাওয়াকেও একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন অধ্যাপক রুহুল ফুরকান।
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লোকবল বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লোকবল মাত্র ৮ থেকে ১০ জন। স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের নেই নির্বাহী ক্ষমতা। ফলে স্বাস্থ্য বিভাগ চাইলেই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন অধ্যাপক রুহুল ফুরকান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটালে রোগ ব্যাধি কমে আসবে, তাতে গজিয়ে ওঠা হাসপাতালগুলো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে মেডিকেল অডিটের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতাল পরিচালনার জন্য এসওপি তৈরি ও মানা বাধ্যতামূলক করতে হবে, লিগ্যাল ইসুস অ্যাড্রেস করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে কঠোর অবস্থান নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
অধ্যাপক ফুরকান বলেন, সরকার কঠোর মনোভাব নিয়ে এসব বন্ধ করে দিলে অনেক রোগী ন্যূনতম চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে। সে ক্ষেত্রে হাতুড়ে চিকিৎসক ও গ্রাম্য চিকিৎসকদের দৌরাত্ম্য বাড়বে। এতে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।