বয়স ২০ বছরের বেশি হলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একবার রক্তের চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। চর্বির মাত্রা বেশি হলে তা হৃদরোগ ও পক্ষাঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়। জীবনাচরণ পরিবর্তন করে ও প্রয়োজনে ওষুধ সেবন করে রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
হাঁটুন: কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমায়, আর উপকারী চর্বি এইচডিএলের মাত্রা বাড়ায়। নৈশভোজের পর হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুন। কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। যারা অফিসে সারা দিন বসে কাজ করেন, তারা প্রতি ঘণ্টায় একবার পাঁচ মিনিট হাঁটা বা চলাফেরা করুন।
লাল মাংস ও চর্বি বাদ: সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- ঘি, মাখনের তৈরি খাবার, গরু ও খাসির লাল মাংস বাদ দিন। আমিষের উৎস হিসেবে মাছ বেছে নিন। চর্বি ফেলে মাংস খাবেন।
আঁশযুক্ত খাবার: প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩৫ গ্রাম আঁশ খাওয়া উচিত। এই আঁশ পাবেন তাজা খোসাসহ ফলমূল, সবজি, গোটা শস্যের তৈরি খাবারে। এই আঁশ রক্তের চর্বি কমাবে।
মাছ: মাছ ও মাছের তেল কোলেস্টেরল/ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। এতে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার মাছ খাওয়া উচিত।
ধূমপান: ধূমপান চিরতরে ছেড়ে দিন। নিকোটিন রক্তনালির আরও ক্ষতি করে ও উপকারী চর্বি কমায়।
শর্করা: অনিয়ন্ত্রিত শর্করা রক্তে ও যকৃতে চর্বি হিসেবে জমা হতে সহায়তা করে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
লেখক: অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা