Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

বিডিএইচএস জরিপের তথ্য

পাঁচ বছরে সিজার বেড়েছে ১১ শতাংশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম

পাঁচ বছরে সিজার বেড়েছে ১১ শতাংশ

দেশে গত ৫ বছরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালকেন্দ্রিক প্রসব বাড়ার কারণে সি-সেকশনের (সিজারিয়ান) সংখ্যা বেড়েছে ১১ শতাংশ। গবেষণা জরিপ বলছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সিজারের ঘটনা বেড়ে ৩৪ থেকে ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) পরিচালিত বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০২২ (বিডিএইচএস) এর প্রাথমিক ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

জরিপে বলা হয়েছে- বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় দরিদ্র মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায় ধনীদের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণের মাত্রা ছয়গুণ বেশি ছিল। ২০২২ সালে দরিদ্রদের তুলনায় ধনীদের সেবা গ্রহণ দ্বিগুণে নেমে এসেছে।

আরও বলা হয়েছে, ৮৮ শতাংশ মহিলা অন্তত একবার একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীর থেকে গর্ভকালীন বা এএনসি সেবা গ্রহণ করেছেন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৮২ শতাংশ; কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন চারবারের বেশি গর্ভকালীন সেবা বা এএনসি গ্রহণ করেছেন এই সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৪১ শতাংশে নেমে এসেছিল। জন্ম বিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখ্য করে জরিপে বলা হয়েছে, জন্ম বিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহারের হার বিগত সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৩ বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে।

২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, মহিলা প্রতি সন্তানের সংখ্যা ২ দশমিক ৩ জন। তবে কিশোরী বয়সেই সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্রা বিগত বছরগুলোর তুলনায় কমেছে। ২০১৭ সালে এ মাত্রা ছিল ২৮ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। অল্প বয়সে বিয়ের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ২০ থেকে ২৪ বছরের মহিলাদের মধ্যে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়ার মাত্রা ২০১১ সালে ছিল ৬৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে এস তা কমে দাঁড়ায় ৫৯ শতাংশে। ২০২২ সালে তা ৫০ শতাংশে নেমে আসে।

জরিপে আরও বলা হয়- পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে প্রতি হাজারে ৩১ শিশু মারা যায়। এছাড়া ধারাবাহিক তিন বছরের গড় অনুযায়ী ৫ বছরের নিচে জীবিত শিশু জন্মের পর মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৩ জন থেকে ৩১ জনে নেমে এসেছে।

এছাড়া ২০২২ সালে এক বছরের কম বয়সের শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৫ জন। এক মাসের কম বয়সের শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০ জন। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে অর্থাৎ সঠিক বৃদ্ধি ঘটছে না-এ হার ৩১ থেকে ২৪ শতাংশে নেমে এলেও কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন হয়নি

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), ইউএসএইড বাংলাদেশের পপুলেশন, হেল অ্যান্ড নিউট্রিশন পরিচালক মিজ ক্যারি রাসমুসেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নিপোর্ট মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম