
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
হৃদরোগীদের রোজা

ডা. মো. উল্লাহ ফিরোজ
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
যারা উচ্চরক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন, তারাও রোজা রাখতে চান এবং জানতে চান-রোজা রাখা যাবে কিনা। যেসব রোগীর রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে আছে তাদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় রোজা রাখার জন্য কোনো ধরনের জটিলতা হয় না। রোগটি নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নিন। যাদের হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে নেই, বিশেষ করে হার্ট ফেইলিউরের জন্য শ্বাসকষ্ট হয় অথবা গত তিন মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত তিনটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে-
▶ রোজা রাখতে পারবেন কিনা?
▶ ওষুধগুলো কীভাবে খাবেন?
▶ খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রম কেমন হবে?
হৃদরোগ এবং উচ্চরক্তচাপের ওষুধ দিনে একবার, দু’বার এমনকি তিনবার খেতে হয়। রোজায় চেষ্টা করতে হবে, যেসব ওষুধগু দিনে একবার বা দু’বার খাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। দিনে দু’বার খাওয়া ওষুধ ইফতার এবং সেহরির সময় খাবেন। দিনে একবার খাওয়া ওষুধ রাতের যে কোনো সময় খেতে পারেন। খাদ্যাভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখবেন। চর্বিজাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার পরিহার করবেন। শারীরিক ব্যায়াম দিনে না করে রাতে করার চেষ্টা করুন। রাতে প্রয়োজনমতো পানি এবং তরলজাতীয় খাবার খাবেন।
রোজার সময় রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে এবং শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে অবশ্যই পানি বা তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। ওষুধ বা ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে হতে পারে। রোজার সময় কোনো রকম জটিলতা যেমন- শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা বা অজ্ঞান হলে দেরি না করে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন।
লেখক : হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ