
প্রিন্ট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৩ এএম
পুরুষের ব্রণ ও মেছতা হলে কী করবেন, জানালেন চিকিৎসক

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম

আরও পড়ুন
পুরুষের ব্রণ ও মেছতার মতো সমস্যা সম্পর্কে কম-বেশি সবারই জানা। বিশেষ করে নারীদের। এমন নারী খুব কমই পাওয়া যাবে, যার মুখে কখনো ব্রণ কিংবা মেছতা হয়নি। এ জন্য নানা ধরনের উপায় ও চিকিৎসা নিয়ে থাকেন তারা। ফলে অনেকেরই ধারণা যে, ব্রণ-মেছতা হয়তো শুধু নারীদেরই হয়। আসলে মোটেও তা নয়। পুরুষেরও ব্রণ ও মেচতা হয়।
আমরা আসলে অনেকেই বুঝতে চেষ্টা করি না যে, ব্রণ-মেছতা নারীর মতো পুরুষেরও হয়ে থাকে। এটি সাধারণত হরমোনজনিত সমস্যা। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। নারীর ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বাকালীন বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করলে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌররোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান। তিনি জানালেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ অব ডার্মাটোলজি জানিয়েছে যে, ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা পুরুষেরও হতে পারে, যা এশিয়ার বাদামি ত্বকবিশিষ্ট মানুষের মধ্যে বেশি হয়ে থাকে।
মেছতা কী
মেছতা হচ্ছে— মুখের ত্বকের ওপর এক ধরনের কালচে বা গাঢ় বাদামি দাম, যা সাধারণত কপাল, নাক, ঠোঁট ও চিবুকে হয়ে থাকে। তবে মুখমণ্ডলের দিকেই মেছতা বেশি হয়ে থাকে।
পুরুষের কেন মেছতা হয়?
নারীদের যেমন মেচতা হয়, ঠিক একইভাবে পুরুষেরও মেচতা হয়ে থাকে। হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতার কারণেই হয়ে থাকে মেচতা। ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলে মেচতা হয়। আবার হরমোনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও মেচতা হতে পারে, যা ফিনসটেরাইডের প্রভাব বলা যায়। আবার অনেক সময় প্রসাধনসামগ্রীর কারণেও মেচতা হয়ে থাকে।
পুরুষদের ব্যবহৃত সেন্ট-পারফিউমে সুগন্থিজনিত ফিনেসটেরাইড থাকে। এ ছাড়া এক গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেল মুখে ব্যবহার করা হলে তা থেকে মেচতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সরিষার তেল আলোকসংবেদনশীল। ফলে সূর্যালোকের সংস্পর্শে যাওয়ার ফলে ত্বকের রঙ গাঢ় হয়ে থাকে।
এ ছাড়া পুরুষের ক্ষেত্রে থাইরয়েডজনিত অসুখ থেকে মেচতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও পুরুষের থাইরয়েডের সমস্যা অনেকাংশেই কম হয়ে থাকে। আবার সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি মেচতার প্রবণতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে যেসব পুরুষ বাইরে কাজ করেন অথচ সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না, তাদের মেচতা বেশি হয়।
মেছতা হলে সমাধানের উপায় কী
মেচতা হলে প্রথমত অতিবেগুনি রশ্মি থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ত্বকে জিংক অক্সাইড ও টাইটানিয়াম অক্সাইডযুক্ত ১৫ এসপিএফসম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্রিমসহ কেমিক্যাল পিল, ডার্মাব্রেশন বা লেজার পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা করেও মেচতা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।