আমাদের শরীরের লিভার হলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। তাই চেষ্টা করুন সবসময় লিভারকে সুস্থ রাখতে। অন্যথায় শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যেতে পারে। পিছু নিতে পারে ফ্যাটি লিভার থেকে শুরু করে লিভার সিরোসিসের মতো একাধিক জটিল রোগ। তাই চেষ্টা করুন লিভার ডিজিজ থেকে কীভাবে দূরে থাকা যায়। তবে এ বিষয়টা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করে বিপি বাড়াবেন না।
কারণ কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই অনায়াসে লিভারের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আর লিভার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন। তাই আর সময় নষ্ট না করে সেসব নিয়ম সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন। লিভারের হাল বেহাল হলেই মুশকিল! কারণ লিভার সুস্থ না থাকলে আপনার জীবন বিপন্ন। তাই চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক লিভার ডিজিজ প্রতিরোধ করুন।
যে কয়েক টিপস মেনে চললেই সুস্থ থাকবে লিভার। মনে রাখবেন, ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলেই বিপদ! সে ক্ষেত্রে একাধিক জটিল অসুখ নিতে পারে শরীরের পিছু। আর এই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে সবার আগে আপনাকে বাইরের ফাস্টফুড খাওয়া ছাড়তে হবে। তার বদলে খাদ্যতালিকায় জায়গা দিতে পারেন বাড়ির তৈরি হালকা খাবার। এর পাশাপাশি প্রতিদিন এক্সারসাইজ হলো মাস্ট। আশা করছি, এভাবে নিজের রুটিন বদলে নিলেই আপনার ওজন কমে আসবে।
এ ছাড়া মদপান একদমই নিষিদ্ধ। মদপান করা চলবে না। মদ হলো জীবন সর্বনাশা একটি নেশা। এই পানীয়ে চুমুক দিলে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যায়। বিশেষত লিভারের ক্ষতি করে। এত আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। তাই চেষ্টা করুন মদপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার। তার বদলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। তাতে লিভারে জমে থাকা টক্সিন শরীরের বাইরে চলে আসবে। আর আপনাকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবে। তাই আজ থেকেই এ নিয়ম মেনে চলুন।
অনেকেই ফাস্টফুডের প্রেমে পড়ে যান। একদিন ফাস্টফুড না খেলে তাদের দিন কাটতে চায় না। সব থেকেও কিছু একটা না থাকার বেদনা তাদের মাথায় চাড়া দিয়ে ওঠে। তবে মনে রাখবেন, এ ধরনের খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল রোগ। বিশেষত, লিভার পড়তে পারে বিপদে। তাই চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার।
অলসজীবন হলো শরীরে রোগের কারখানা। অলসতাই আপনার শরীরে হানা দিতে পারে একাধিক জটিল রো। এমনকি সিঁধ কাটতে পারে লিভার ডিজিজ। তাই আজ থেকেই অলসজীবন কাটানোর অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। তার পরিবর্তে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এ ক্ষেত্রে জিমে গেলেই মিলবে বেশি উপকার।
সবশেষে আরেকটি কথা মাথায় রাখুন। আপনার শরীরর নিয়মিত চেকআপ করুন। কারণ আপনার যকৃতের স্বাস্থ্য ঠিক রয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য শুধু একটা লিভার ফাংশন টেস্ট বা এলএফটি করে নিন। তাতে যদি লিভার এনজাইমগুলোর মাত্রা স্বাভাবিক থাকে, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। তবে লিভার এনজাইমের মাত্রা বিগড়ে গেলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি যদি আরও কিছু টেস্ট করতে বলেন, সেগুলোও করে নেওয়া জরুরি।