নখের চারপাশে চামড়া উঠছে? সহজ সমাধান যেভাবে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
নখের আশপাশের চামড়া ওঠার যন্ত্রণায় আমরা অনেকেই ভুগে থাকি। এ সমস্যা যেমন যন্ত্রণাদায়ক, তেমনই বিরক্তি ও চিন্তারও কারণ। অনেকেই আবার এ চামড়া ছেঁড়ার চেষ্টা করে থাকেন। আর তখনই ঘটে বিপদ। চামড়ার সঙ্গে বের হয় রক্তও। যন্ত্রণা তখন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে ক্ষত স্থানে ব্যথার সঙ্গে সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই এ বিষয়েও আপনাকে যত্নবান হতে হবে।
নখের আশপাশে চামড়া ওঠার একটি প্রাথমিক কারণ হলো— সংক্রমণ। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে ফোলা, লালভাব এবং চামড়া ওঠার সমস্যা হয়। এটি প্রায়ই ঘটে যখন ত্বকে একটি ফাটল বা ছিঁড়ে যায়, যা প্যাথোজেনগুলোকে প্রবেশ করতে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আঙুলের অগ্রভাগে শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ থাকে। ফলে নখের আশপাশ থেকে ওঠা চামড়া ছিঁড়লে বিপদ ঘটতে পারে। নখের কাছে চামড়া ওঠার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যা সহজেই এড়ানো যায়। এ সমস্যা প্রায়শই ব্যথা ও জ্বালা করে, যা সাধারণত দৈনন্দিন কাজকর্ম ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
নখের কোনায় এ রকম বাড়তি চামড়া ওঠার সমস্যাকে বলা হয় 'হ্যাংনেইলস'। এ সমস্যার পেছনে নানান কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো শুষ্ক ত্বক।
নখ কামড়ানো বা কিউটিকল তোলা নখের চারপাশের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। যার ফলে চামড়া ওঠা ও সংক্রমণ হতে পারে। এই বদভ্যাস শুধু ত্বকের ক্ষতি করে না, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের বৃদ্ধির ঝুঁকিও বাড়ায়। কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা, যেমন— একজিমা বা সোরিয়াসিস নখের চারপাশে ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার কারণে প্রায়ই শুষ্ক ত্বক হয়ে যায়। নখের চারপাশে শুষ্ক, ফাটা ত্বক ঠাণ্ডা আবহাওয়া, কম আর্দ্রতা বা ঘন ঘন হাত ধোয়ার মতো কারণগুলোর ফল হতে পারে। ত্বক যখন তার আর্দ্রতা হারায়, তখন এ সমস্যা দেখা যায় এবং জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়।
সবসময় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখুন। আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুষ্কতা রোধ করতে নিয়মিত নখের চারপাশে একটি সমৃদ্ধ, ময়শ্চারাইজিং লোশন বা কিউটিকল তেল লাগান। শিয়া বাটার বা ভিটামিন ই’র মতো ইমোলিয়েন্ট রয়েছে, এমন পণ্য বেছে নিন।
এ সমস্যা সমাধানে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ক্রিম ব্যবহার করুন। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ক্রিম বা মলম আপনার ব্যথা ও ফোলা কমাতে সাহায্য করতে পারে। হাইড্রোকর্টিসোন বা অনুরূপ উপাদান ধারণকারী পণ্য বেছে নিন।
এ ছাড়া উষ্ণ জলে আঙুল ভিজিয়ে রাখুন। এতে আপনার হাত গরম, সাবান জলে ভিজিয়ে রাখলে তা ফোলা কমাতে এবং ত্বককে নরম করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত উপকারের জন্য এতে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টিফাঙ্গাল অ্যাসেনশিয়াল অয়েল, যেমন টি ট্রি অয়েল যোগ করুন।
আপনি সবসময় নখ পরিষ্কার রাখুন এবং ছোট রাখুন। সঙ্গে কামড়ানো বা আঁচড়ানো এড়িয়ে চলুন। সংক্রমণ রোধ করতে আপনার নখ এবং কিউটিকল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া যদি এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত থাকে তা হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হন।