Logo
Logo
×

ঢালিউড

গোপনে খালেদা জিয়ার চরিত্রে শুটিং করেন নিপুণ!

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম

গোপনে খালেদা জিয়ার চরিত্রে শুটিং করেন নিপুণ!

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ সেলিমের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। বিষয়টি অনেকের জানা থাকলেও সামনে আসেনি কখনও। তবে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো।

শেখ সেলিমের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া ছিলেন নিপুণ। এ নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনের কলাকুশলীদের ক্ষোভ অনেক দিনের। কিন্তু কেউ সেভাবে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেননি। তবে এবার মুখ খুলতে শুরু করছেন তারা।

গণমাধ্যমে তারা তুলে ধরেছেন ২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণকে জয়ী করতে শেখ সেলিম কীভাবে প্রভাব খাটিয়েছিলেন। ২০২২ সালের সেই নির্বাচনে ভোটারদের ভোটে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান। তবে শেখ সেলিম চাইছিলেন নিপুণই বসুক সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে। পরে ঘটনা মামলায় গড়ায়। আদালত থেকে রায় নিয়ে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসেন নিপুণ। তিনি পুরো সময় দায়িত্ব পালন করেন।

এরই মধ্যে শোনা গেল চমকপ্রদ এক খবর। ২০১৩ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বায়োপিক তৈরি করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। 

প্রায় ১১ বছর আগে নির্মিত ‘আপসহীন’ শিরোনামের সেই সিনেমায় খালেদা জিয়ার চরিত্রে গোপনে শুটিং করেন নিপুণ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন করে সেই সিনেমা আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

সিনেমাটির মুক্তি পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা হেলাল খান। এ সিনেমায় জিয়াউর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অভিনেতা জানিয়েছেন, সিনেমাটি মুক্তির ব্যাপারে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একবার দেখা করতে চান।

তবে শেষ পর্যন্ত চরিত্রটিতে রাখা হচ্ছে না অভিনেত্রী নিপুণকে। তাকে বাদ দিয়ে নতুন করে নির্মাণ করা হবে ছবিটি। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির প্রযোজক হেলাল খান। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে আপসহীন সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। সে সময় অনেক কিছু আমরা করতে পারিনি। এটি নির্মাণের পর একবার ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) দেখানো হয়েছিল। তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। এরপরেই বিগত সরকার সিনেমাটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। তাই মুক্তিও দিতে পারিনি। এখনো সেভাবেই আছে। হঠাৎ করে এই সিনেমার নিউজ কে করছে, কেন করছে, এটাই বলতে পারছি না। এ সিনেমা নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা না বলে কোনো কথা বলতে চাই না।

নতুন করে আপসহীন নির্মাণের প্রসঙ্গে হেলাল খান বলেন, ‘সিনেমাটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে। এখন তো অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ১০ বছর আগে যে রকম চিন্তা করেছি, এখন তো সে রকম হবে না। এরপর খালেদা জিয়ার জীবনে অনেক কিছু ঘটেছে। এখন যদি আগের কাজটি মুক্তি দিতে চাই, তাহলে ইনকমপ্লিট একটি কাজ হবে। এটা নতুন করে বানাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম যদি অনুমতি দেন, তাহলেই নতুন করে হবে আপসহীন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজটি করতে হবে। তিনি অসুস্থ হওয়ায় এ বিষয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ হয়নি। নতুন করে কাজটি করলে বিশাল আয়োজনে হবে। সিনেমার ক্যানভাস বাড়বে, অভিনয়শিল্পীদের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। খালেদা জিয়ার চরিত্রে নিপুণ অভিনয় করেছিলেন, নতুন সিনেমায় অন্য কাউকে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া অন্যান্য অভিনয়শিল্পীর ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে।’

ছবিটি প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন হেলাল খান। ছবিতে বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৩ সালের নভেম্বরে শুটিং শুরু করে ডিসেম্বরেই শেষ হয়। দ্রুত পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ সম্পন্ন করে সেন্সরে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন হেলাল খান। তার আগেই গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)এই কর্মী। তিনি ছিলেন দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের নেতা।

এই সিনেমা প্রসঙ্গে পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে নিপুণ বলেছিলেন, একদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে। আমাকে তার চরিত্রেই রূপদান করতে হবে। জানতে চাইলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা? জানালাম, অভিনেত্রী হিসেবে ম্যাডামের চরিত্রে অবশ্যই অভিনয় করা উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে রাজপথে সরব। আমি রাজি হওয়ায় আঙ্কেল খুব খুশি হলেন।

যদিও পরিচালক মাজহারুল আনোয়ার বর্তমানে বেঁচে নেই। তবে এই সিনেমা নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল বলে জানান তার ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম