দেশবরেণ্য অভিনেত্রী ববিতা। বছরের বেশির ভাগ সময় একমাত্র ছেলে অনীকের কাছে কানাডায় থাকেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। আজ এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। প্রতি বছর দিনটি ছেলের সঙ্গেই পালন করার চেষ্টা করেন। এবারও সে ইচ্ছাতেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ছেলের কাছে কানাডা যাওয়ার। টিকিটও কনফার্ম হয়ে গেছে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল করোনাভাইরাস। যেতে দিল না তাকে। দিন কয়েক আগে হঠাৎ করেই শরীরে ব্যথা অনুভব করেন, গায়ে জ্বর না থাকলে বেশ অস্বস্তি লাগছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন করোনা পজিটিভ। কালক্ষেপণ না করেই ১৮ জুলাই ভর্তি হন হাসপাতালে। তবে এখন তিনি সুস্থ আছেন। চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর করোনা নেগেটিভ হলে বাসায় ফেরেন তিনি। তবে শারীরিক দুর্বলতা এখনো পুরোপুরো কাটিয়ে উঠতে পারেননি এ অভিনেত্রী। তবে ববিতা জানান, শরীরটা একটু ভালো অনুভব করলেই কানাডার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
জন্মদিন প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘জন্মদিন তো আসলে সেভাবে উদযাপন করা হয় না। এবার অনিক বলেছিল জন্মদিনে আমাকে নানা ধরনের সারপ্রাইজ দেবে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। তাই ঢাকায় নিজের বাসাতেই জন্মদিনের পুরোটা প্রহর কাটবে। আমার বড় বোন (সুচন্দা) ছোট বোনসহ (চম্পা) পরিবারের অন্য সদস্যরা তো আছেই। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন।’
এদিকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরে ববিতাকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শুধু তার অভিনীত সিনেমাই প্রদর্শিত হয়েছিল। আয়োজনে তাকে দেওয়া হয়েছিল আজীবন সম্মাননা। টেক্সাসের রিচার্ডসন সিটির মেয়র বব ডুবের হাত থেকে ববিতা এ সম্মাননা গ্রহণ করেছিলেন। পাশাপাশি সে সময়ই উৎসবে তার সম্মানে ৫ আগস্টকে ‘ববিতা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। দিনটি ঘোষণা করেন ডালাসের সিটি মেয়র। প্রতি বছর ডালাসে দিনটি ‘ববিতা দিবস’ হিসাবে উদযাপিত হবে।
নিজের নামে দিবস ঘোষণা প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘ডালাসে ববিতা দিবসের যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে আমাকে এবং আমার প্রিয় বাংলাদেশকে যে সম্মাননা জানানো হলো, তাতে সত্যিই আমি ভীষণ গর্বিত, ভীষণ আনন্দিত। এ সম্মান শুধু আমাকেই নয়, এ সম্মান বাংলাদেশকেও প্রদর্শন করা হয়েছে। সত্যি আমি কোনোদিন কখনো কল্পনা করিনি জীবনে এমন মুহূর্ত আসবে। জীবনে এমনই কিছু মুহূর্ত আসে যা জীবনের জন্য আশীর্বাদ হয়েই আসে। এটা সত্যি এমন প্রাপ্তিও যে জীবনে অপেক্ষা করছে তাও জানার বা বুঝার মধ্যে ছিল না। এ সম্মান আমার জীবনে পরিপূর্ণতা এনে দিয়েছে। জীবন যেন আরও অর্থবহ হয়ে উঠেছে।’