সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মিশা সওদাগর সভাপতি ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ ফল স্থগিত চেয়ে আদালতে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।
বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায়ের মাধ্যমে রিট করেন এই নায়িকা।
বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। এই নায়কের বক্তব্যের জবাবে নিপুণ জানান, তিনি ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না।
নিপুণের রিট করা প্রসঙ্গে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল বলেন, ‘কেস খেলবা, আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা ভদ্রতা ও নম্রতা চাই। আমরা চাই কীভাবে চলচ্চিত্র এগিয়ে নেওয়া যায়, সেদিকে কাজ করার। আমরা কোনো ঝামেলা চাই না।’
সভাপতি মিশা সওদাগর হুংকার দিয়ে বলেন, ‘সংবিধানকে যিনি ক্ষতবিক্ষত করেছেন, তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে দেব শিল্পী সমিতির সংগঠন কী? এবার শিল্পী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কে? এবার এই সংগঠনের ক্যাবিনেটটা কী? পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে যাবেন।’
তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।
নিপুণের রিট এবং তার সদস্যপদ চলে যাওয়া নিয়ে যখন সারা দেশে চর্চা হচ্ছে, তখনই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন এই নায়িকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু আদালতে উঠেছে, সেখানেই দেখা যাবে এটা নাটকীয় না রিয়েলিটি।
ডিএ তায়েবের উদ্দেশে নিপুণ বলেন, আমি ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না। তিনি কি অভিনেতা, একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, তার কোনো সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন- তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে যেটি বলেছেন, আমার মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।
চিঠি দেওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে সদুত্তর না পেলে এই নায়িকার সদস্যপদ বাতিল করা হবে- এ ব্যাপারে নিপুণ বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ অধিকাংশ পদেই জয়লাভ করে মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজল পরিষদ।