
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
ঢাকায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরে দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আটক ৭

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:২৯ পিএম

প্রতীকী ছবি
আরও পড়ুন
রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুর ১টা থেকে শুরু হয় ধাওয়া পালটাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুইপক্ষের মাঝে অবস্থান নেয় হাতিরঝিল থানা পুলিশ। পরে রোববার সন্ধ্যায় ৭ জনকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ আটক করে।
হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার মো. শামীম রাত সাড়ে সাতটার দিকে যুগান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
এর আগে সংঘর্ষ চলাকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু যুগান্তরকে বলেন, দুইপক্ষের মাঝে অবস্থান নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
জানা গেছে, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করে ইউথ স্বেচ্ছাসেবীদের একাংশ। তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় যুব বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার পক্ষের স্বেচ্ছাসেবীরা। এখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।
সূত্র জানায়, রেড ক্রিসেন্টের যুব স্বেচ্ছাসেবক ইউনিটে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবীরা কোভিডের সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা তোলেন। এই টাকা নিয়ে বড় রকমের অনিয়ম হয়। ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সেই অনিয়মকে ঘিরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নিরপরাধ কাউকে ফাঁসানো হয়েছে আবার অপরাধী কাউকে নির্দোষ বলা হয়েছে- এমন দাবিতে আন্দোলন শুরু করে একটি পক্ষ। তাদের দাবি, পুনরায় তদন্ত করতে হবে।
আন্দোলনকারী স্বেচ্ছাসেবীদের একটি অংশের নেতা কিশোর মজুমদার রোববার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, ‘পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার আর্থিক অনিয়ম করে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। নিজেই টাকা মেরে ইউথদের ফাঁসাচ্ছেন। অথচ ইউথরা টাকা তুলে এনে দিয়েছে ডিপার্টমেন্টকে।’
তিনি বলেন, ‘ইমাম জাফর শিকদার মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাজানো তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে গণহারে যুব স্বেচ্ছাসেবীদের ছাঁটাই করেছে। এ কারণে তার অপসারণ দাবি ও নতুন করে তদন্ত কমিটি করার দাবি জানিয়েছি। এ কারণে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছে।’ পুলিশ অন্তত ২০ জনকে আটক করে হাতিরঝিল থানায় নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে পরিচালক ইমাম জাফর শিকদারকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটাধাওয়া চলাকালে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভেতরে অবস্থান করা বেশ কিছু বিদেশি ডোনার ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। তারাই ফোন করে পুলিশ নিয়ে আসে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিদেশি ডোনাররা অফিস ত্যাগ করেন।