
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ এএম
মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি নিয়ে ক্যাম্পেইনে বিএনপি নেতা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম

আরও পড়ুন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি ইব্রাহিম তোতাকে নিয়ে ভোটার অন্তর্ভুক্তি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার।
শনিবার দুপুরে চরএলাহী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নুরুল আলম শিকদার পলাতক আসামিসহ ফেসবুকে লাইভ করলে বিষয়টি দেখে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
অভিযুক্ত ইব্রাহিম (৪৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল মতিন তোতার ছেলে। গত ২৭ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জ থানায় চাঞ্চল্যকর মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলার অন্যতম আসামি ইব্রাহিম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর (৩৫) স্বামী পেশায় একজন কাভার্ডভ্যান চালক। বাড়িতে তিনি তার মেয়ে (১৭) ও দেবরসহ (২১) থাকেন। তাদের বাড়ির কাছাকাছি তেমন কারও বাড়িঘর নেই। গত ২০ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের ইব্রাহিম তোতা তার সহযোগী সাইফুল, রাশেদ, হাসান, হারুন ও রাজুকে নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢোকেন। পরে দেবরকে বেঁধে রেখে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করেন আসামিরা।
আসামিদের মধ্যে চরএলাহী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাজিব ওরফে রাজু (৩০), চরবালুয়া গ্রামের নুরনবীর ছেলে রাশেদ (৩৫), বেলায়েত হোসেনের ছেলে হাসান (৪২) ও হানিফ চৌকিদারের ছেলে হারুনকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ ও র্যাব। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহিম তোতা বলেন, আমাকে মিথ্যা আসামি করা হয়েছে। জেলে থাকা চারজনও নির্দোষ। তারপরও আমি ফেরারি। জামিনের জন্য যাইনি। শিকদার আংকেল আসার পর উনার সঙ্গে দেখা করতে যাই। সেটা ফেসবুক লাইভে যাওয়ায় সবাই দেখেছে। আমি এ মামলার প্রত্যাহার চাই।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পলাতক আসামিকে নিয়ে ভোটার ক্যাম্পে যাওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা নুরুল আলম শিকদার বলেন, সে গুরুতর আসামি হলে পুলিশ তাকে ধরে না কেন? আমি ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ভোটারদের সমাগম শুনে ভেতরে যাই। সেখানে ইব্রাহিম তোতা আমার সঙ্গে ছিল।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামির খোঁজ পেলে অবশ্যই পুলিশ গ্রেফতার করবে। ইব্রাহিমকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।