Logo
Logo
×

অপরাধ

ফেসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিতেন তারা, অতঃপর...

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২০ পিএম

ফেসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিতেন তারা, অতঃপর...

শাহানাজ, লিজা ও সীমা। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে প্রতারক চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির খিলগাঁও থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো-নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসির (২৮), আনোয়ার ওরফে তš§য় ওরফে আকতারুজ্জামান (২৬), রোকসানা রহমান ওরফে রোকসানা (৩৫), সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার(৩২), জেসমিন ওরফে জেসমিন বেগম (২০), লিজা (২৫) ও শাহানাজ আক্তার (২০)। মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপি সূত্র জানায়, গত ৪ অক্টোবর ঢাকার নবাবগঞ্জের নাসির উদ্দীন ফেসবুকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে। এ বিষয়ে ৬ অক্টোবর দুপুরে সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার নামের একজনের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে। ওইদিন সন্ধ্যায় সীমার কথা মতো বাদী খিলগাঁও থানার টেম্পুস্ট্যান্ডের ১৩৬ দক্ষিণ গোড়ানের একটি বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার ও আনোয়ার ওরফে তš§য়সহ আরো কয়েকজন ওই বাসায় আসে। 

নাসির উদ্দীন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে বিবস্ত্র করে মারধর শুরু করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার নিজেকে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে নাসিরের মায়ের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। বাদীর মা তাৎক্ষনিকভাবে  তাদের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে পাঁচ হাজার টাকা পাঠান। এরপর তারা ভিকটিম নাসিরের সঙ্গে থাকা দুটি স্বর্ণের আংটি, একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে নেয়। ওইদিন রাত সাড়ে এগারটার দিকে আনোয়ার ওরফে তন্ময় ভিকটিমের চোখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের উপর ফেলে রাখে।

এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর মামলা হয় সংশ্লিষ্ট থানায়। ওইদিনই খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসির, আনোয়ার ওরফে তš§য় ওরফে আকতারুজ্জামান, রোকসানা রহমান ওরফে রোকসানা, সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার, জেসমিন ওরফে জেসমিন বেগম ও লিজা নামের ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বিকালে খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহানাজ আক্তার নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেজে বা প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার মতো বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে প্রলুদ্ধ করে। লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে কেউ ফাঁদে পা দিলে তাকে জিম্মি করে অর্থ ও মূল্যবান দ্রবাদি হাতিয়ে নেয়। গ্রেফতারকৃত নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসিরের নামে হত্যা চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম