শাহজাহানপুর থানার এসআই মিল্টন কুমার দাস (বামে) ও উদ্ধার হওয়া আইফোন।ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় ছিনতাই হওয়া আইফোন-১৩ ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ডিএমপির শাহজাহানপুর থানার এসআই মিল্টন কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ জুলাই কলকাতার বেনিয়া পুকুর থানা এলাকার পার্ক সার্কাস থেকে মৌটুসী গাঙ্গুলি নামের এক ভারতীয় নাগরিকের ব্যবহৃত আইফোনটি ছিনতাই হয়। পরে তিনি বেনিয়া পুকুর থানায় জিডি করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় সাইবার পুলিশ মৌটুসীকে জানায়, ফোন কলকাতায় নেই, বাংলাদেশে পাচার হয়ে গেছে। হারানো ফোনটির আশা ছেড়ে দেওয়া মৌটুসী শেষ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসআই মিল্টন কুমার দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মৌটুসী জানতে পারেন, এসআই মিল্টন দেশের নাগরিকদের হারানো বহু ফোন উদ্ধার করে দিয়ে থাকেন। দীর্ঘ এক বছর পর সেই ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করেন মিল্টন।
তিনি বলেন, ছিনতাই হওয়া ফোনের সন্ধান মেলার খবরে মৌটুসী বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে মৌসুমীর ফোনটি হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় মোবাইল সেটের চালানসহ ৪ চোরাকারবারি গ্রেফতার : ভারতীয় মোবাইল সেটের চালানসহ চার চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল। শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন- চক্রের হোতা আবু তাহের, মেহেদী হাসান, রুবেল হোসেন ও নূর নবী। তাদের কাছ থেকে ৮০৮টি চোরাই মোবাইল ফোন, ২টি প্রাইভেটকার এবং ৫ হাজার ৩৬৯ টাকা জব্দ করে র্যাব।
র্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা র্যাবকে জানিয়েছে, তারা চোরাইপথে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কারখানায় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন এ দেশে নিয়ে আসতেন। তা আবার কুমিলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইলের দোকানে বিক্রি করতেন। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ায় গ্রাহকের কাছে কম দামে বিক্রি করা যায় এসব ফোনসেট। ওই চক্রের হোতা ছিলেন গ্রেফতার আবু তাহের। তার নেতৃত্বে চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড় মাসে এ ধরনের ৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।