ইমোতে স্টিকার ম্যাসেজের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা, অতঃপর...
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে স্টিকার ম্যাসেজের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন মানুষের থেকে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
নাটোরের লালপুর ও রাজশাহী জেলার বাঘা থানা এলাকা থেকে শনিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. রাজন আলী (২২), রন্জু আহম্মেদ (২২) ও মো. ফজলে রাব্বি (২০)।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসী যুগান্তরকে বলেন, নাম রাজন হলেও এলাকাবাসীর কাছে তিনি পরিচিত ইমো রাজন নামে। তিনি অভিনব উপায়ে ইমোর মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন নামে অ্যাপটিতে অনেকগুলো গ্রুপ খোলেন তিনি। এতে যুক্ত হওয়ার পর সদস্যদের বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করা হয়। এরপর নানা উপায়ে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ইমোতে বিপুল পরিমাণ স্টিকার ম্যাসেজ পাঠানো হয়। এতে একপর্যায়ে ওই নাম্বার হ্যাং হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। রাজন ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই ‘সমস্যা’ সমাধানের জন্য তার আইডিতে ঢোকার অনুমতি চান। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়, ওই ওটিপির মাধ্যমে অন্যরাও প্রবেশাধিকার পায়।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ইমোতে ঢুকে রাজন সেই ইমোর সব ম্যাসেজ পড়ে নেন এবং তার আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তার আত্মীয়ের কাছে ‘আমি বিপদে পড়েছি, টাকা পাঠান’, ‘মা অসুস্থ, টাকা পাঠান’ জাতীয় ম্যাসেজ পাঠিয়ে ৫ হাজার, ১০ হাজার, ১৫ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেন। তার এমন বিভিন্ন গ্রুপ আছে। তার মধ্যে রাজন স্টোরি, রাজন সলিউশন উল্লেখযোগ্য।
ওসি আরও জানান, পেশায় মুদি দোকানদার রনজু আহম্মেদ। কিন্তু তিনি বিকাশে প্রতারণা করেন। দোকানে বসেই বিকাশ কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। আর মানুষের কাছ থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ করেন। পরে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আরও সিম ইস্যু করেন। সেসব সিম উচ্চমূল্যে বিভিন্ন প্রতারক চক্রের কাছে বিক্রি করেন রাব্বি। সাধারণত সিমের দামের তুলনায় এগুলোর মূল্য ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি। এসব সিম দিয়েই প্রতারকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করেন।