সংগৃহীত
সবশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। আর এবার তো নিজেরাই আসরটির আয়োজক পাকিস্তান। আগামী ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসরে খেলবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। যেখানে শিরোপা ধরে রাখা ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবার কথা নয় পাকিস্তানের। সদ্য নিযুক্ত সাদা বলের কোচ আকিব জাভেদের নজরটাও সেদিকেই।
বিশ্বকাপজয়ী কোচ গ্যারি কারস্টেনের বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে পাকিস্তানের দায়িত্ব সামলেছেন জেসন গিলেস্পি। তবে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সামনে রেখে স্থায়ী কোচের পথেই হেঁটেছে পিসিবি। এক্ষেত্রে দলটি বেছে নিয়েছে নির্বাচক প্যানেলে থাকা সাবেক ক্রিকেটার আকিব জাভেদকে।
আকিব জাভেদের অধীনে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। আর এই সিরিজ দিয়েই শুরু হবে আকিব জাভেদ অধ্যায়। যেখানে আকিবের নজরটা আরও সামনের দিকে। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলকে সাফল্য এনে দিতে চান তিনি।
আর সেই সাফল্যের জন্য ওয়ানডে স্কোয়াডকে স্থির করতে চান তিনি। শেষ মুহূর্তে স্কোয়াডে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি। বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই মুহূর্তে আমাদের মূল ফোকাস ওয়ানডে ক্রিকেটে। আপনি এই ফরম্যাটে একটি স্থির দল দেখতে পাবেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পরিবর্তন আসবে। আমরা জিম্বাবুয়ে সিরিজে নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। নতুন খেলোয়াড়দের জন্য এটি একটি বার্তা এবং সুযোগ। আপনি যদি নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ না দেন, আপনি আপনার বেঞ্চের শক্তি বাড়াতে পারবেন না।’
সম্প্রতি শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়েও কথা বলেছেন আকিব। সাবেক এই পেসার বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া কখনোই সহজ সফর ছিল না। যখন দল গিয়েছিল, আমরা যদি বলতাম আমরা সিরিজ জিততে যাচ্ছি, তাহলে মানুষ এটাকে অসম্ভব ভাবত। নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান এর অধীনে, তারা বিশ্বকে দেখিয়েছিল যে তারা এটা করতে পারে। ২২ বছর পর ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও সুযোগ ছিল। কিন্তু আপনি যদি সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে আপনি জিততে পারবেন না।’