Logo
Logo
×

ক্রিকেট

অভিষেকদের দাওয়াই আমাদের হাতে আছে: বরুণ চক্রবর্তী

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম

অভিষেকদের দাওয়াই আমাদের হাতে আছে: বরুণ চক্রবর্তী

আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সফলতম বোলার বরুণ চক্রবর্তী। ১২ ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। বৃষ্টির জন্য দুটি ম্যাচ ভেস্তে না গেলে বেগুনি টুপির লড়াইয়ে ঢুকে পড়তে পারতেন তিনি। তাকে বলা হচ্ছে— কলকাতার এ সময়ের রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। 

বরুণ চক্রবর্তী আহমেদাবাদে টিম হোটেলের লনে আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হন। আজ কোয়ালিফায়ার-১ ম্যাচ শুরু আগে তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন। হায়দরাবাদের ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মাদের জন্য কী কী পরিকল্পনা রয়েছে? আইপিএলে দুরন্ত ছন্দের পর কি ভারতীয় দলে ফেরার আশা করছেন? সব কিছু নিয়েই খোলামেলা কথা বললেন বরুণ চক্রবর্তী।

প্রশ্ন: আহমেদাবাদে সাধারণত স্পিনাররা সাহায্য পান। বিপক্ষে ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মার মতো বিধ্বংসী ওপেনার রয়েছেন। যারা প্রথম ছয় ওভারেই ম্যাচের রঙ পালটে দিচ্ছেন। তাদের দ্রুত ফেরানোর মতো দাওয়াই কি নাইট বোলিং বিভাগের হাতে আছে?

বরুণ চক্রবর্তী: হায়দরাবাদ অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। ওদের প্রত্যেকটি ম্যাচ দেখার চেষ্টা করেছি। হেড ও অভিষেকই বিধ্বংসী হয়ে উঠছে। ম্যাচ থেকে বার করে দিচ্ছে বিপক্ষকে। আমরা যদিও তৈরি। দুই ওপেনারকে দ্রুত ফেরানোর মতো দাওয়াই আমাদের হাতেও আছে। তবে ক্রিকেট খুব অনিশ্চয়তার খেলা। মাঠে কী হয়, আগে থেকে কিছু বলা যায় না।

প্রশ্ন: সুনীল নারাইনের সঙ্গে খেলছেন ২০১৯ সাল থেকে। কোনো মূল্যবান পরামর্শের কথা মনে পড়ে, যা আপনাকেও ভারতের সেরা রহস্য স্পিনার হতে সাহায্য করেছে?

বরুণ চক্রবর্তী:  ছাত্র তখনই ভালো হয়, যখন সে দেখে শিখতে পারে। নারাইনের পাশে দাঁড়িয়ে বল করার সময়ই অনেক কিছু শেখা যায়। কীভাবে গ্রিপ লুকিয়ে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে হয়। কোন ব্যাটসম্যানকে কোন জায়গায় বল করলে সমস্যায় ফেলা যায়— এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নারাইনের থেকেই পাই। অবশ্যই বোলিং নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। একেবারে নিজের ভাইয়ের মতো ভালোবাসে। যে কোনো সমস্যার কথা আলোচনা করা যায়। নারাইনের সঙ্গে এক ড্রেসিংরুমে থাকার ফলে আমি যেন আরও উন্নত স্পিনার হয়ে উঠেছি। আইপিএল মৌসুম শেষ হওয়ার পর ওর ভিডিও সংগ্রহ করে রাখি। সেগুলো দেখি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। ওর প্রত্যেকটি ডেলিভারি থেকে নতুন কিছু শেখার আছে।

প্রশ্ন: আইপিএলের লিগ স্তরের মতো বড় প্রতিযোগিতায় টানা খেলার পর প্লেঅফে ছন্দ ধরে রাখা কতটা কঠিন?
বরুণ চক্রবর্তী: খুব কঠিন। কিন্তু প্লে-অফে ছন্দ হারিয়ে ফেললে সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে দল। টানা দু’মাস খেলার পরে মাস্ল মেমোরিও ঠিকমতো কাজ করে না। তবু এত দিন ধরে যে ভাবে সাফল্য পেয়েছি, সেটাই চেষ্টা করে যেতে হবে। প্রত্যেকটি ম্যাচের আগে নিজের ভিডিও দেখি। কোথায় উন্নতি করা যায়, তা বার করার চেষ্টা করি। তাতে কিছুটা হলেও ভাল খেলার তাগিদ ফিরে আসে।

প্রশ্ন: আইপিএলে সাফল্যের পর ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন কি দেখতে শুরু করেছেন?

বরুণ চক্রবর্তী: খুব একটা আশা করছি না। শেষ দুবছর ধরে ভারতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখতাম। খুব একটা লাভ হয়নি। এবার তাই ঠিক করেছি, যা হওয়ার হবে। নিজের খেলাটা খেলে যাব। পরিশ্রমে কোনো খামতি রাখব না। ভারতীয় দলে সুযোগ পেলে ভাল, না পেলেও হতাশ হব না।

প্রশ্ন: লাল বলের ক্রিকেট খেলার কথা কখনও মাথায় আসে? টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখেন?

বরুণ চক্রবর্তী: আইপিএল শেষ হওয়ার পরে তামিলনাড়ুর হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনাই রয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি না। আমি ক্রস সিমে বল করি। লাল বলের ক্রিকেটে সাফল্য পেতে গেলে সিম ধরে বল করতে হয়। একেবারে ঘূর্ণি পিচ না হলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারব না।

প্রশ্ন: কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা ইতোমধ্যে তৃতীয় ট্রফির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। প্রত্যাশার চাপ কি দলের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে?

বরুণ চক্রবর্তী: কলকাতার সমর্থক, জিজি ভাই (গৌতম গম্ভীর) এবং সাপোর্ট স্টাফের জন্য মরিয়া লড়াই করব। নাইট সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে পারি, আমরা মরিয়া লড়াই করব ট্রফি কলকাতায় নিয়ে আসার। শুধু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই প্লেঅফ খেলতে এসেছি। এর চেয়ে কম কিছুতে খুশি হব না।

প্রশ্ন: চলতি আইপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচ দেখতে এসেছেন শাহরুখ খান। প্লেঅফের আগে দলকে উদ্বুদ্ধ করতে কোনো বার্তা দিয়েছেন?

বরুণ চক্রবর্তী: মাঠে ওনার উপস্থিতিই বাড়তি খিদে তৈরি করে। পাঞ্জাব ম্যাচের পর প্রত্যেক বোলারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলেন। সবাইকে বুঝিয়েছিলেন— হাল ছাড়ার কোনো জায়গা নেই। আমরা হারতে আসিনি। এসআরকের প্রত্যেকটি বার্তা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তার হাতে ট্রফি তুলে দিতে পারলে সবচেয়ে খুশি হব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম