ফাইল ছবি
পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অনুসরণ করলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দল ওপেনিং পজিশন নিয়ে সমস্যায় ভুগছিল। আর এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে নেমে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পেয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আবারো ওপেনিংয়ে খেলতে চান মিরাজ।
এর আগে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে মাশরাফি একই কাজ করেছিলেন। তিনি ওপেনিংয়ে লিটনের সঙ্গী হিসেবে মিরাজকে মাঠে নামান।
সুপার ফোরে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ হবে পাকিস্তান। এবার সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ।
এ চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত কিনা- এমন প্রশ্নে মিরাজ বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে নিয়ে চিন্তিত নই। আমি শুধু ভালো খেলতে চাই। এটা আমার জন্য দারুণ একটি সুযোগ, যদি পরবর্তী ম্যাচেও আমাকে ওপেনিংয়ে খেলানো হয়।’
মিরাজ বলেন, ‘আমি যদি সেখানে ভালো করতে পারি, তাহলে টপ অর্ডারে সবসময় খেলার সুযোগ পাব। সব সময় হয়তো ওপেনিংয়ে খেলব না। তবে টপ অর্ডারে সুযোগ পাব। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি আমাকে টপ অর্ডারে সুযোগ দেয় তাহলে এটা আমার জন্য ভালো হবে।’
মিরাজকে ওপেনিংয়ের প্রস্তাবটা দেওয়া হয় ম্যাচের আগের রাতে।
তিনি বলেন, ‘কৃতিত্ব টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়কের। আগের রাতে তারা আমাকে জানান, আমাকে ওপেন করতে হবে। আমি তাদের কথায় রাজি হয়ে যাই, কারণ এর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে আমি ওপেনিং করেছি। তাই আমি আত্মবিশ্বাসী।’
এশিয়া কাপের চলমান ১৬তম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কায় ছিল টাইগাররা।
সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না টাইগারদের সামনে।
পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। আগের ম্যাচের মতো রোববার টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
৩৩৫ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে টাইগার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ে বি গ্রুপ থেকে কার্যত সুপার ফোর নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোববার ১১২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন মিরাজ। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
ওপেনিং জুটিতে নাইম শেখের সঙ্গে ৬০ রানের জুটির পর তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ১৯৪ রান যোগ করেন মিরাজ। আউট হননি। রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
১১৯ বলে ৭ চার আর ৩ ছক্কায় ১১২ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। হাতে আঘাত পেয়ে ব্যাটিং ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন। তবে পরে ঠিকই দলের প্রয়োজনে বোলিং করেছেন। ৮ ওভার বল করে ৪১ রানে একটি উইকেটও নেন অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডার।
ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে বাংলাদেশকে জেতানোর দিন স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে মিরাজের হাতে। এর সঙ্গে আরও একটি পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ম্যাচে সবচেয়ে বেশি তিনটি ছক্কা হাঁকানো ব্যাটার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন মিরাজ।