ফাইল ছবি
বিপিএলের পর্দা নামবে আজ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের মধ্যকার ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে টুর্নামেন্ট। কার হাতে উঠবে শিরোপা তা নিয়ে চলছে তর্ক-বির্তক। কার দুর্বলতা ও শক্তিশালী অবস্থান কোথায়- সবার মুখে মুখে সেই আলোচনা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএলে সফলতম দল। তারা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নিজেদের রেকর্ড সমৃদ্ধ করতে আজ তারা মাঠে নেমেছে। এদিকে প্রথমবারে মতো ফাইনালে খেলছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাই শিরোপার দিকে তাদেরও নজর। শিরোপা পেতে হলে দুই দলের কী অস্ত্র আছে তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলটি লিটন দাস, মঈন আলী, আন্দ্রে রাসেল, জনসন চার্লসের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানদের নিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তাদের মূল শক্তি কিন্তু বোলিংও। তাদের দুই প্রধান বোলার হলেন তানভীর ইসলাম ও সুনিল নারাইন। এই দুই স্পিনারের একজন এসে রানের গতি কমিয়ে দেন। বিপিএলের শুরু থেকে কুমিল্লার হয়ে দায়িত্বটা সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন তানভীর। ১১ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে তানভীর সেরা উইকেটশিকারিদের তালিকায় দুইয়ে। গত তিন ম্যাচে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন টি-টোয়েন্টির কিংবদন্তি নারাইন। এই ৩ ম্যাচে তার ইকোনমি ৪.৮৩!
রংপুরের বিপক্ষে অধিনায়ক মাশরাফির প্রায় সব সিদ্ধান্তই কাজে লেগেছে। বিপিএল পরীক্ষায় সর্বাধিক নম্বর পেয়েছেন তিনি। শুধু সেই ম্যাচে নয়, পুরো টুর্নামেন্টেই মাশরাফির অধিনায়কত্ব ছিল দুর্দান্ত। তিনি এর আগে চারবার বিপিএল ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চারবারই। নিজের পঞ্চম ফাইনালেও কি তার জাদু দেখা যাবে।
সিলেট স্ট্রাইকার্স দলের দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন ও তৌহিদ হৃদয় দুজনই বিপিএলজুড়ে ছিলেন ধারাবাহিক। নাজমুল ১৪ ইনিংসে ১১৩ স্ট্রাইক রেটে ৪৫২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে আছেন। তিনে আছেন ১৩ ইনিংস খেলা তৌহিদ। ১৪১ স্ট্রাইক রেটে হৃদয় ৪০৩ রান করেছেন। আজ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দুজনের মধ্যে থাকছে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার প্রতিযোগিতাও।
সিলেটের ডেথ বোলিংও বেশ শক্তিশালী। রংপুর রাইডার্সের জয়ের জন্য ১৮ বলে দরকার ছিল ৩৩ রান। হাতে ৭ উইকেট। সেখান থেকে সিলেটের ডেথ বোলিংয়ের কাছে মুখথুবড়ে পড়ে রংপুর। শেষ পর্যন্ত হেরেছে ১৯ রানে।
তরুণ তানজীম হাসান ও বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নামা লুক উড ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে। স্লোয়ার বল, ব্যাক অব দ্য হ্যান্ড, বাউন্সার, কাটার ও ইয়র্কার- যখন যেটা দরকার, সিলেটের ডেথ বোলাররা ঠিক সেটাই কাজে লাগিয়েছে সাফল্যের সঙ্গে। ফাইনালেও সিলেটের ডেথ বোলিংয়ে চোখ থাকবে।