সাতক্ষীরায় একদিনে রেকর্ড ১৪ জনের মৃত্যু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২১, ১২:২৮ এএম
ফাইল ছবি
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রেকর্ডসংখ্যক ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেন সংকটে। মৃতদের চারজন ছিলেন করোনা পজিটিভ। অন্যরা মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে।
বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা মেডিকেলে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের প্রেসার কমে আসতে থাকে। সেই সংকট মুহূর্তে পর পরই আইসিইউতে দুজন, সিসিইউতে দুজন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে আরও চারজনসহ আটজনের মৃত্যু হয়।
রোগীদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, অক্সিজেন সংকট দেখা দিলেও তা পূরণ করতে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এসব রোগী মারা গেছেন। রাত ৮টার দিকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়। তারা মারা যান করোনা উপসর্গ নিয়ে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, সেন্ট্রাল অক্সিজেনে প্রেসার কমে গেলেও অক্সিজেন সংকটে কেউ মারা যায়নি।
এ সময় চারজন করোনা পজিটিভ রোগীর অবস্থা খুবই সংকটজনক ছিল দাবি করে তিনি বলেন, তারা ছিলেন সিসিইউ ও আইসিইউতে।
তারা অক্সিজেন সংকটে মারা যাননি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেলে ৭৬টি বড় আকারের অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। সংকট দেখা দিলেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে।
এদিকে এখন পর্যন্ত ২৭৫ রোগী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ২৬ জন। অন্যরা করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন।
এদিকে সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কিছু ভুল তথ্য সাংবাদিকদের দেওয়া হয়।
সর্বশেষ সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার সংশোধিত তথ্য দিয়ে বলেন, মৃত ১৪ জনের মধ্যে চারজন ছিলেন করোনা পজিটিভ। অন্যরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগের দিন মৃতের সংখ্যা ছিল ১০।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। শতাংশের হিসাবে তা দাঁড়ায় ৪৯ দশমিক ০৫ ।
এর আগের ছয় দিনে এই হার ছিল যথাক্রমে ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশে, ২৭ দশমিক ৫০ , ২৮.২ শতাংশ, ৩২.৭২ শতাংশ, ২৭.০৪ শতাংশ এবং ৩০.৩৭ শতাংশ।
এদিকে বিশেষ লকডাউনের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার শহরে সেনাসদস্য, বিজিবি ও পুলিশ টহলে রয়েছেন। জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির এবং পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান তাদের সঙ্গে থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। দোকানপাট সব কিছু বন্ধ রয়েছে। লোকজনের উপস্থিতিও কম। শহরজুড়ে রয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। বিনাপ্রয়োজনে কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।