কোভিড-১৯ আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক চলছে।
মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি নেত্রীর সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়ের মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে গুলশানের এভারকেয়ার হাসপাতালে দশ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাদের পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বৈঠক চলছিল।
১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। শুরুতে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিলেও ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিলে গত ৩ মে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
গুলশানের ওই হাসপাতালের ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্বাবধায়নে খালেদার চিকিৎসা চলছে। সিসিইউতে তাকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। তার ডায়াবেটিসের মাত্রাও বেশি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে করোনার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। নিয়ন্ত্রণে নেই ডায়াবেটিস। অক্সিজেন লেভেল ঠিক নেই।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর মহামারির শুরুতে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। সে সময় দেশেই তার চিকিৎসা নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল।
এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার। তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার বুধবার রাতে ওই আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
রাতেই তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিষয়টি ‘ইতিবাচক দৃষ্টিতে’ বিবেচনা করা হবে। এখন তাকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে।