Logo
Logo
×

কোভিড-১৯

প্রতারক সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:৫৯ পিএম

প্রতারক সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

করোনাভাইরাস টেস্ট নিয়ে প্রতারণার হোতা রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। 


বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে এ দাবি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু।

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে সাহেদের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। এ দিন সাহেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রোববার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার অস্ত্র মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন সাহেদ। এই আদালতকেই সাহেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।

এ মামলায় ১১ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

গত ৩০ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারের পরই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ছিল এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়।

২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম