করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি শিশু জন্ম নেবে ভারতে: ইউনিসেফ

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২০, ০৮:৫৮ এএম

জাতিসংঘের শিশুকল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফের হিসাব অনুসারে– এ বছরের ১১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বে জন্ম নেবে ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশু।
এর মধ্যে ভারতেই সর্বাধিক ২ কোটি ১০ লাখ শিশুর জন্মের সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চ মাসে করোনার হানাকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
আগামী ১০ মে আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস। তার আগে গত বুধবার ইউনিসেফ এই তথ্য প্রকাশ করল। জন্মহারে ভারতের পরেই আছে চীন। মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৩৫ লাখ শিশু জন্ম নিতে চলেছে।
৬৪ লাখ শিশু জন্মানোর আভাস নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নাইজেরিয়া। পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় যথাক্রমে ৫০ লাখ এবং ৪০ লাখ শিশুর জন্ম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউনিসেফ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এই পাঁচটির মধ্যে অধিকাংশ দেশে এমনিতেই নবজাতকের মৃত্যুহার বেশি। করোনা মহামারীতে তা আরও বাড়তে পারে।
সেই সঙ্গে ইউনিসেফের আশঙ্কা, করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে প্রসূতি এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবায় বড় রকম বিঘ্ন ঘটতে পারে।
ফলে এমনই মহামারীতে জন্ম নেয়ার কারণে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে থাকছে বাড়তি চিন্তা। উপরন্তু লকডাউনের কড়াকড়ির ফলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রসূতি ও শিশুর দেখভাল করার লোক পাওয়ার অসুবিধা, ওষুধপত্র এবং অন্য জিনিসপত্রের ঘাটতি, হাসপাতালে জায়গা পাওয়ার সংকট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ইউনিসেফের মতে, অপেক্ষাকৃত ধনী দেশও কিন্তু এই উদ্বেগের বাইরে নয়। সম্ভাব্য জন্মহারের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে আমেরিকা। মার্চ-ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে ৩৩ লাখ শিশু জন্ম নিতে পারে। সংকটের সম্ভাবনা পুরোমাত্রায় রয়েছে সেখানেও।
ফলে সব রাষ্ট্রপ্রধানের কাছেই ইউনিসেফের আবেদন– প্রসূতি ও নবজাতকের জরুরি পরিসেবার দিকে যেন নজর দেয়া হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা, প্রতিষেধকের জোগান যেন ব্যাহত না হয়।