করোনার মধ্যে মেম্বারের নেতৃত্বে ষাঁড়ের লড়াই, লাখ টাকা জরিমানা
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২০, ০৬:২৯ পিএম
করোনার মধ্যে মেম্বারের নেতৃত্বে ষাঁড়ের লড়াই
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় লকডাউন উপেক্ষা করে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ লড়াই হয়। করোনা ইস্যুতে লড়াই চলাকালীন সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে জনসমাগম করে গ্রামবাসী।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য রফিকুল ও মো. রনু মিয়াকে আটক করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া লড়াইয়ে অংশ নেয়া ষাঁড়গুলোকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে খোলা জায়গায় মঙ্গলবার সকালে ষাঁড়ের লড়াই শুরু হয়। এ সময় শ্রীপুর গ্রামের সুজন মিয়া ও মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ষাঁড়ের লড়াই শুরু হয়।
বেলা ১১টার দিকে একই স্থানে পাশের গ্রাম থেকে আরও দুইটি ষাঁড় এনে লড়াই শুরু করলে লড়াই দেখতে মাঠে চলে আসে গ্রামের শত শত মানুষ। ওই লড়াইয়ের নেতৃত্বে ছিলেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও মো. রনু মিয়া।
করোনা সংক্রমণের কারণে নেত্রকোনা জেলায় চলছে লকডাউন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে সবাইকে। এ সব নিয়ম উপেক্ষা করে মেম্বার আয়োজন করছেন ষাঁড়ের লড়াই।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মোতালেব কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি লোকমুখে খবর পেয়েছি। তবে মেম্বার জড়িত থাকার বিষয়টি আপত্তিজনক।
দুর্গাপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, লকডাউন উপেক্ষা করে যারা এই লড়াইয়ের আয়োজন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য রফিকুল ও মো. রনু মিয়াকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া লড়াইয়ে অংশ নেয়া ষাঁড়গুলোকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করার শর্তে দু'জনকে মুক্তি দেয়া হয়।