Logo
Logo
×

কোভিড-১৯

লকডাউনে খুকৃবির হোস্টেলে ১১ নেপালি শিক্ষার্থী আটকা

Icon

নূর ইসলাম রকি, খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২০, ০১:৪৯ পিএম

লকডাউনে খুকৃবির হোস্টেলে ১১ নেপালি শিক্ষার্থী আটকা

ছবি: যুগান্তর

করোনাভাইরাসের লকডাউনে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) ১১ নেপালি শিক্ষার্থী আটকা পড়েছেন।  তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সেশনে ভর্তি হয়েছেন। 

নগরীর দেয়ানা মোল্ল্যাপাড়ায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রবাসে বর্তমানে আট নেপালি ছাত্র এবং নগরীর বয়রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রীবাসে তিন ছাত্রী রয়েছেন। 

এরা হলেন- আদর্শ কুমার রায় চৌধুরী, নিরাজ বিস্ট, চন্দ্রকলা ইয়োগী (ছাত্রী), অনিল ইয়াদব, ঐশ্বরিয়া দেব (ছাত্রী), কৃষ্ণা কুমার ইয়াদব, অর্জুন কুমার অধিকারী, সন্তোষ শাহ, জীবন ছান্টিয়াল, চন্দ্র রাজ রোকেয়া এবং লাক্সমী ধুঙ্গার (ছাত্রী)। 

জানা যায়, ছুটি হওয়ার পর নানা জটিলতার কারণে তারা দেশে ফিরতে পারেননি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছে গচ্ছিত টাকাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ফলে খুব দ্রুত খাবার ও চিকিৎসা সংকটের পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা। 

তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বিদেশি শিক্ষার্থীদের সব ধরণের সেবা দেয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে নেপালের ১১ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এদের মধ্যে ভেটেরিনারি এ্যানিমেল এন্ড বায়োমেডিকেল সায়েন্স বিভাগে সাতজন এবং এগ্রিকালচার বিভাগের চার শিক্ষার্থী। 

প্রাথমিকভাবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অল্প দিনের ছুটি দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা নেপালে না ফিরে নগরীর দেয়ানা ও বয়রার দুটি হোস্টেলে অবস্থান করেন।

কিন্তু এরপরই বর্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর দেশে ফিরতে পারেননি।  বর্তমানে তারা হোস্টেলে আটকা পড়েছেন। 

নেপালী একাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তারা যুগান্তরকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যে সাময়িকভাবে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। তাই তারা নেপালে না ফিরে বাংলাদেশে অবস্থান করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ফলে তারা আর দেশে ফিরতে পারেননি। 

এদিকে তাদের কাছে যা টাকা ছিল তা প্রায় শেষ। দেশ থেকে টাকাও পাঠাতে পারছেন না তাদের অভিভাবকেরা। 

এদিকে হোস্টেলে আটকেপড়া আট ছাত্রের খাবার পার্শ্ববর্তী একটি পরিবার থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছাত্ররা জানান, আমাদের কাছে যা টাকা ছিল আমরা ওই পরিবারকে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর দিতে পারছি না। এভাবে আমরা এখানে থাকতে চাই না। নেপালে ফিরতে চাই। 

তারা আরও জানান, ছাত্রবাসে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নিযুক্ত ডাক্তার রেগুলার চেকআপে যাননি। 

তবে অন্যদিকে নগরীর বয়রায় অবস্থিত তিন ছাত্রীর তেমন সমস্যা নেই। তারা নিজেরা রান্না করে খাচ্ছেন। পর্যাপ্ত টাকা এবং চিকিৎসার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে তারা জানান। 

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েল ভিসি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান যুগান্তরকে বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের খাবার ও চিকিৎসার সংকট হবে না। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। তাদের হয়ত টাকা শেষ হতে পারে। তবে এই বিপদের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের সব সংকট নিরসনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম