মুন্সীগঞ্জে ৫ গ্রাম পুলিশকে পেটানো সেই এএসআই ও কনস্টেবল ক্লোজড
টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২০, ০১:১৬ পিএম
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় গ্রাম পুলিশের ৫ সদস্যকে মারধর করে জাটকা ছিনিয়ে নেয়া এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে।
দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের ওই তিন পুলিশ সদস্য ৫ গ্রাম পুলিশকে মারধর করে জাটকা বোঝাই দুটি পিকআপ একটি সিএনজি, একটি আটো গাড়ি ও একটি নসিমন ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
বুধবার ভোর রাত ৫টায় উপজেলার কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ঈদগাঁ মাঠের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রাম পুলিশেরা বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতুকে জানালে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে একটি নসিমনসহ ৬০ কেজি জাটকা উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ী থানা নিয়ে আসে।
পরে দুপুরে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে।
গ্রাম পুলিশের সদস্যরা জানান, করোনা আতংকের কারণে টঙ্গীবাড়ী-দিঘীরপাড় সড়কে উপজেলার কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঠাদিয়া ঈদগাঁ মাঠের সামনে চেকপোস্ট বসায় উপজেলা প্রশাসন।
তারা জানান, সেখানে দায়িত্বরত অবস্থায় গ্রাম পুলিশের সদস্য নবু শেখ, সুজন শেখ, শহীদ মাল, আবদুর রশিদ ও আবদুর রহমান জাটকা বোঝাই ৫টি গাড়ি আটক করে। এর ১০ মিনিট পরই দুইজন কনস্টেবলসহ দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মো. তাইজুদ্দিন এসে তাদের মারধর করে জাটকা বোঝাই গাড়িগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু যুগান্তরকে জানান, দিঘিরপাড় দিয়ে জাটকা মাছসহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিস পাচার হয়। বিষয়টি উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বহুবার জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে দিঘিরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে এলাকার সবাই জানে জিল্লুর রহমান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পাচারের সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজদিখান সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা লিখিতভাবে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ করলে দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই তাইজুদ্দিন, কনস্টেবল দীপু মল্লিক ও মো. মহসিনকে ক্লোজড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।