রংপুরে ২ নারীর মৃত্যু, অ্যাম্বুলেন্সে লাশ রেখে পালাল চালক ও স্বজনরা

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৫৫ পিএম

রংপুরের কাউনিয়া ও মিঠাপুকুরে দুই নারী করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার জানিয়েছেন, দু'জনেই অসুস্থ ছিলেন। তবে তাদের অসুস্থতার বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর জানা যাবে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, কাউনিয়ার হারাগাছ খানসামাহাট গ্রামের সুইপার মিনা রানী শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে হারাগাছ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন। বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
হারাগাছ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ডা. শামসুজ্জোহা বলেন, মিনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর পর মিনার স্বজনদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এ দিকে মিঠাপুকুরের ভাংনি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের এক নারী জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের হাসপাতালে মারা যান। এরপর নমুনা সংগ্রহের জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নমুনা নেয়ার পর লাশটি ফের মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। লাশ নিয়ে আসার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও ওই নারীর স্বজনরা গাঢাকা দিয়েছেন। অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে লাশটি পড়ে ছিল।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. আবদুল হাকিম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন জানান, দুটি মৃত দেহের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) করোনা ল্যাবে পাঠানো হবে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুরো বিষয়টির নিশ্চিত হওয়া যাবে তারা কী রোগে মারা গেছেন।