বিভিন্ন গুজবে ভোলার মনপুরার ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে গত কয়েকদিন ধরে ভর্তি হচ্ছে না রোগীরা।
ফলে রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে এই উপকূলের একমাত্র হাসপাতালটি। আবার যারা সেবা নিতে ভর্তি হন তারাও এমন গুজবের কথা শুনে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
তবে গুজবের বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুনার পর মাইকিং ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা সর্তকতাসহ গুজবে কান না দিয়ে অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেবা নেয়ার পরামর্শ দেন।
বুধবার সরেজমিন ৫০ শয্যার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, মহিলা ওয়ার্ডে রোগী নেই। শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আবদুল্লাহ (২) নামে এক শিশু ভর্তি রয়েছে।
ওই শিশুর মা মরিয়ম জানান, হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয় না এমন গুজবে তার সন্তান গত ৫ দিন আগে ডায়রিয়া হলেও হাসপাতালে আনেননি। পরে অবস্থা খারাপ হলে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করান।
হাসপাতালের তিন তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে ১ জন হাতভাঙ্গা রোগী ভর্তি। গাইনি ওয়ার্ডে বুধবার ২ গর্ভবতী রোগী ভর্তি রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে যেই ৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৩৫ জন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে নৌবাহিনীর ৭ সদস্যের একটি টিম মনপুরায় আসলে তখন এক প্রকারের অসাধু মানুষ গুজব সৃষ্টি করে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চীনের মত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হবে গুজবে সেই দিন না বলে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী হাসপাতাল ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই দিন থেকে গুজবে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছে না বলে জানালেন অনেকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ জানান, আচমকা গুজবে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছে না। এই রকম গুজবের কথা শুনার পর সর্তকতা মাইকিং করানো হয়। এছাড়াও আমিসহ একটি টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ গুজবে কান না দিয়ে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতলে ভর্তি হয়ে সেবা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
এই সময় তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।