করোনাভাইরাস: হেল্পলাইনে ফোন করে সমুচা চাইলেন ব্যক্তি, অতঃপর...

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২০, ১২:২৩ এএম

জরুরি হেল্পলাইনে ফোন করে সমুচা চাওয়ায় এক ব্যক্তিকে দিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করানো হচ্ছে। ছবি: টুইটার
করোনাভাইরাসের বিস্তার রুখতে কঠোর সব পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পুরো ভারতে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। লকডাউন অমান্য করলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন!
তবুও বিভিন্ন রাজ্যে মানুষদের রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে। রাস্তায় বের হওয়া বন্ধ করতে একটি জরুরি হেল্পলাইন চালু করেছে দেশটির উত্তরপ্রদেশ সরকার।
ওই নম্বরে ফোন করে চাইলেই ঘরে ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই সহায়তা পাওয়ায় জরুরি নম্বরটি বেশ ব্যস্ত হয়ে গেছে। মিনিটেই ১০-১২টি করে কল আসছে।
এমন পরিস্থিতিতে এক ব্যক্তি সেই জরুরি নম্বরে কল করে চাইলেন সমুচা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসিয়াল টুইটারে টুইট করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনেয়া কুমার সিং।
তিনি লিখেছেন, ফোন তোলার পর ওই ব্যক্তি সমুচা চাইলে তাকে বোঝানো হয় যে, করোনাভাইরাসের এমন পরিস্থিতিতে সমুচা নয়, ওষুধপত্র বা এ মুহূর্তে ঘরে খাবার কিছু না থাকলে সেসব দ্রব্য পৌঁছে দেয়া হবে। কিন্তু কথা কানেই নেয়নি সেই সমুচাভক্ত ব্যক্তি। তিনি ফোনের পর ফোন করে যেতে থাকেন। আর বারবারই সমুচা দেয়ার জন্য বলতে থাকেন।
অঞ্জনেয়া কুমার জানান, পরে ওই ব্যক্তির কাছে সমুচা পাঠানো হয়। তবে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে হাস্যকর দাবি করার অপরাধে তাকে শাস্তিও দেয়া হয়েছে।
অঞ্জনেয়া কুমার লিখেছেন, শাস্তি হিসেবে সমুচাপ্রিয় ওই ব্যক্তিকে তার বাসার পাশের ড্রেন পরিষ্কার করতে হয়েছে।
ওই ব্যক্তির ড্রেন পরিষ্কার করার একটি ছবি টুইটে পোস্ট করা হয়েছে।
এদিকে ওই ব্যক্তির এই শাস্তিতে বেশ খুশি হয়েছেন ভারতীয় নেটিজেনরা। এই টুইটে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার লাইক জমা পড়েছে। অনেকেই এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করে রিটুইট করেছেন, জরুরি নম্বরে ফোন করে কেউ এমন মজা করতে না পারেন।
তথ্যসূত্রঃ ওয়ানইণ্ডিয়া, টুইটার