Logo
Logo
×

কোভিড-১৯

পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সৈকতে বিরল প্রজাতির ডলফিনের খেলা

Icon

শফিউল্লাহ শফি, কক্সবাজার

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২০, ০১:৫১ পিএম

পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সৈকতে বিরল প্রজাতির ডলফিনের খেলা

পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সৈকতে বিরল প্রজাতির ডলফিনের খেলা

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পর্যটক কিংবা স্থানীয়দের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরে এসেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।

শনিবার সকালে পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে গিয়ে বিরল ডলফিন দলের খেলা দেখা গেছে। ১০ থেকে ১২টি ডলফিনের এই দলটি সকাল ৯টা থেকে সাগরের নীল জলে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা করছিল। কলাতলী সমুদ্র সৈকতের একদম কাছেই ডলফিনগুলো খেলা করতে দেখা গেছে। সমুদ্র পাড় থেকে ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। 

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন আগে কয়েকজন সার্ফার সমুদ্র সৈকতে সার্ফিং করতে গিয়ে ডলফিনের এই দলটি প্রথম দেখতে পান। এ সময় মাহাবুবুর রহমান নামের এক সার্ফার ডলফিনের দলটির খেলা করার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিশেষ করে এরপর থেকে প্রতিদিন ডলফিনের দল কলাতলী সৈকতের নীল জলে এসে খেলা করতে দেখা যাচ্ছে।

শনিবার সকালে কলাতলী পয়েন্টে কথা হয় দরিয়ানগর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেমের সঙ্গে।

তিনি জানান, সকালে তিনি কলাতলী ও হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ডলফিনের একটি দল দেখতে পান। এই দলে বাচ্চাসহ ১০ থেকে ১২টি ডলফিন রয়েছে।

ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য প্রথম ধারণ করা স্থানীয় সার্ফার মাহবুবুর রহমান বলেন, অতীতে তিনি কক্সবাজার সৈকতে ডলফিন খেলা করতে দেখেননি। কিন্তু বর্তমানে সৈকতে দর্শনার্থীদের পদচারণা না থাকায় ডলফিন মনের আনন্দে নীল জলে খেলা করছে বলেও জানান তিনি। 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত ৩ দশকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কখনও ডলফিন খেলা করতে দেখা যায়নি। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত খালি করে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে সৈকতের দূষণ একেবারেই কমে গেছে। সৈকতে দূষণ ও পর্যটক না থাকায় ডলফিন এসেছে বলে ধারণা করছেন তারা।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কখনও ডলফিন খেলা করতে দেখা যায়নি। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত খালি করে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে সৈকতের দূষণ একেবারেই কমে গেছে। সৈকতে দূষণ ও পর্যটক না থাকায় ডলফিন এসেছে বলে ধারণা করছেন তারা।

ভিডিও কৃতজ্ঞতাঃ সার্ফার মাহবুবুর রহমান

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম