Logo
Logo
×

সারাদেশ

পরকীয়ায় বিচ্ছেদ, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েতে বাধা দেওয়ায় নারীর কাণ্ড

Icon

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম

পরকীয়ায় বিচ্ছেদ, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েতে বাধা দেওয়ায় নারীর কাণ্ড

কুমিল্লার মুরাদনগরে পরকীয়ার কারণে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ফাহিমা আক্তার নামের এক নারীর। এরপর পরকীয়া প্রেমিক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা শুরু করেন ওই নারী। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফাহিমার পরিবার। সেই ক্ষোভ থেকে ওই নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেন।

রোববার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফাহিমা আক্তার (২২) কৈজুরী গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৪ বছর আগে ফাহিমা আক্তারকে একই উপজেলার মাহুতিকান্দা গ্রামের আইয়ুব আলির ছেলে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে দেয় তার পরিবার। বিয়ের পর ফাহিমা আক্তার তার নিজ গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে অলিউল্লাহর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। অলিউল্লাহ নিজেও বিবাহিত। পরে অলিউল্লাহর পরামর্শে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফাহিমা আক্তার তার স্বামী হাবিবুর রহমানকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। তাদের ৪ বছরের সংসার জীবনে আড়াই বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

ফাহিমা আক্তার তার বাবার বাড়ি আসার পর অলিউল্লাহ তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় পার করার পাশাপাশি বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্নভাবে তার কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা নেয়। বিষয়টি গ্রামবাসীর মাঝে জানাজানি হলে গত ৯ এপ্রিল অলিউল্লার বিরুদ্ধে সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে অলিউল্লাহকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সালিশের পর অলিউল্লাহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সেই জরিমানার টাকা দিতে গড়িমসি করেন।

এদিকে অলিউল্লাহকে বিয়ে করার জন্য ফাহিমা আক্তার বারবার বাড়ি ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় মা জুলেখা বেগম ফাহিমাকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। রাত ১২টার দিকে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ফাহিমা বিষপান করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যুবরণ করেন ফাহিমা। 

নিহত ফাহিমার মা জুলেখা বেগম বলেন, আমার মেয়ের আত্মহত্যার জন্য অলিউল্লাহ দায়ী। সেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে প্রথম স্বামীর ঘর ছাড়া করেছে। আর এখন তার জন্যই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি তার কঠিন বিচার চাই।

অভিযুক্ত অলিউল্লাহর মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পাশাপাশি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কুমিল্লা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম