Logo
Logo
×

সারাদেশ

অপহরণের পর হত্যা করে পুঁতে ফেলে ব্যবসায়ীর লাশ

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

অপহরণের পর হত্যা করে পুঁতে ফেলে ব্যবসায়ীর লাশ

যশোরে অপহরণের এক মাস পর ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার একটি বাগানে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফোন কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন রেজাউল ইসলাম। তার নিখোঁজের এক মাস পর শনিবার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন স্ত্রী মমতাজ বেগম।

এরপর সন্দেহভাজন দুইজনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তিতে অভিযান চালিয়ে রেজাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত।

জানা যায়, দীর্ঘদিন নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান না পেয়ে শনিবার যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন শংকরপুর ইসহাক সড়কের রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগম। আসামি করা হয় সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার কুড়ি কাওনিয়া গ্রামের হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল ও যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন।

মামলায় রেজাউলের স্ত্রী উল্লেখ করেন, রবিউল, রিপন ও তারা শংকরপুর ইসহাক সড়কের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেই সুবাদে তাদের সঙ্গে তার স্বামী রেজাউলের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মাঝে তারা একসঙ্গে শংকরপুরে রেজাউলের দুই শতক জমির ওপর থাকা একটি একতালা বাড়ি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ওই টাকা দেওয়ার জন্য ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা শংকরপুরের ইসহাক সড়কের কামরুলের বাড়ির সামনে কথা বলে। একপর্যায়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

রেজাউলের ছেলে মেহেদী হাসান চয়ন জানান, শংকরপুরে তার বাবার দোকান রয়েছে। সেখানে দর্জির দোকানের সঙ্গে কাপড় বিক্রি করতেন তিনি। পাশেই সবুজের চা ও মুদিখানার দোকান। আরেক আসামি রিপন বেনাপোলে থাকেন। তিনি বিভিন্ন ভারতীয় মালামাল ওই মুদিখানায় রেখে সাপ্লাই দিতেন। তারাই তার বাবাকে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করান এবং ওই টাকা আত্মসাৎ করতে অপহরণ করেছে বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ শনিবার চট্টগ্রাম থেকে দুই আসামিকে আটক করে। তাদের রাতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আটক দুজন স্বীকার করেছে তারা রেজাউলকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। তার মরদেহ সাতক্ষীরার আশাশুনির একটি বাগানে পুঁতে রাখা হয়েছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম আশাশুনিতে লাশ উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, রেজাউল অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সন্দেহভাজন দুইজনে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের তথ্যমতে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে রেজাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানাতে পারব।

যশোর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম