ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে দুপক্ষের ধাওয়া পালটাধাওয়া, আহত ৫
কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- জহির, রাসেল, আল আমিন, কাউছার ও মাঈনুদ্দিন খসরু। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে রাসেল নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে নারান্দিয়া কাচারি বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল চলাকালে সভাপতি প্রার্থী মাঈনুদ্দিন খসরু ও জহিরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল চলাকালে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন খসরু গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ৯নং ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আসমানিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। বর্তমানে আসমানিয়া বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আবারও যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আহত জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার কর্মী-সমর্থক নিয়ে কাচারি বাজার কাউন্সিলে যাওয়ার সময় আসমানিয়া বাজারে মাঈনুদ্দিন ও তার লোকজন আমাকে বাধা দেয়। পরে আমি অন্য রাস্তা দিয়ে গিয়ে নৌকায় করে নদী পার হয়ে পশ্চিম পারে গিয়ে পৌঁছলে আমাকে তারা মারধর এবং আমার বাড়িতে গিয়েও হামলা করে।
মাঈনুদ্দিন খসরু বলেন, ৯নং ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে, এ ঘটনাকে জহির ভাই বহিরাগত লোক দিয়ে আমার ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে আমার আত্মীয়স্বজনরা এসে তাদের প্রতিহত করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ওসমান গনি ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন মিটিংয়ে আছি।
