সেই শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলা পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ সোমবার
মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাগুরার চাঞ্চল্যকর সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে রোববার। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
ওই দিন আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৩ এপ্রিল মামলাটির চার্জ গঠনের পর রোববার মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আলোচিত মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয় মামলাটির অভিযুক্ত চার আসামি হিটু শেখ, জাহেদা বেগম এবং তাদের দুই ছেলে সজিব শেখ এবং রাতুল শেখকে।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে দিনের কার্য তালিকায় প্রথম আলোচিত এ মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় সকাল ১০টায়। এ সময় মামলাটির বাদী শিশুর মা মোছা. আয়েশা আক্তার এবং অপর দুই সাক্ষীকে জেরা করেন মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহমেদ।
মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মামলাটির চার্জশিটে মোট ২৫ জন সাক্ষী রয়েছেন। এর মধ্যে রোববার বাদী এবং অপর দুই সাক্ষীকে তলব করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেছেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতের বিচারক সোমবার দিন ধার্য করেছেন। আমরা আশা করছি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই মামলাটির বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুব আকবর কল্লোল বলেন, ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি মাগুরাসহ সারা দেশের বিবেকবান মানুষকে পীড়া দিয়েছে। স্থানীয় আইনজীবীরাও ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের আইনগত সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন; কিন্তু মামলাটির বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে এবং মামলার আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে একজন আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়েছে। এতে মামলাটির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সহজ হবে।
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় সেই শিশুটি। ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে সারা দেশে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন। স্থানীয় আইনজীবীরাও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবির পাশাপাশি আসামিপক্ষকে কোনো প্রকার আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
গত ২৩ এপ্রিল মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসান সাক্ষীদের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
