
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
কিশোরকে আটকে পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৯ পিএম

আরও পড়ুন
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক কিশোরকে আটকে রেখে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার বিকালে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, সোমবার উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতাররা হলেন- কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের মহিউদ্দিনের ছেলে ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল্লা আল মামুন (২৫), একই ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো.মনিরুল ইসলাম ওরফে আকাশ (২১), ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়ির মৃত তাহেরের ছেলে মো.পারভেজ হোসেন (৩০), ২ নাম্বার ওয়ার্ডের ফয়েজ উল্যাহ মেম্বার বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৪) ও বাটইয়া ইউনিয়নের রশিদ দর্জি বাড়ির মো. সালাউদ্দিনের ছেলে মো. ইউনুস হোসেন রাজু (২২)।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, সোমবার উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. তাফসীরুল ইসলাম ওরফে রাফসানকে (১৯) আটক করেন আসামিরা। ভুক্তভোগীকে মাদকসহ আটক করেন বলে দাবি করেন তারা। এরপর রাফসানের মোবাইল থেকে কল করে প্রথমে ডিবি ও পরে সেনাবাহিনী পরিচয় দিয়ে তার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে রাফসানকে মারধরের হুমকি দেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, দাবিকৃত টাকা বাটইয়া ইউনিয়নের কৃঞ্চারটেক মসজিদের সামনে রাখার জন্য বলা হয়। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা তাদের জন্য ৭০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে যান; কিন্ত প্রশাসনের লোক আছে বলে স্থান পরিবর্তন করতে থাকেন আসামিরা। পরে ভুক্তভোগীকে মাইজদী নিয়ে ডিবি পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছি বলে জানান তারা।
এতে রাফসানের বাবার তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন করেন। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোবাইলের কল রেকর্ড শুনে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা মো. সফিউল্যাহ (৬০) বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৩ থেকে ৪ জনকে।
কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মন্জুর আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় চাঁদাবাজি আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পলাতক রাকিব নামে অপর আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।